ত্রিপুরায় মসজিদে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কনগ্রেসের গণধর্না
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-১০-২৮ ১৯:৩৯:২৮
সম্প্রতি হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার সময়ে কুরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পূজামন্ডপে এবং মন্দিরে হামলার ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।তবে বাংলাদেশের ঘটনাকে পুঁজি করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মসজিদ ও বাড়িতে হামলা ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ত্রিপুরার কংগ্রেস দল এক গনধর্নার আয়োজন করে। এ সময় এক ভিডিও বার্তায় তারা ত্রিপুরার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদ ও বাড়িতে হামলার বিষয়ে নিম্নোক্ত তথ্য উপস্থাপন করে।
১। ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে গত ২৬ অক্টোবর তারিখে ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমায় কোন মসজিদে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়নি মর্মে জানানো হয়েছে। কিছু কিছু পত্রিকাও মসজিদে হামলার বিষয়টিকে গুজব বলে প্রচার করেছে।
২। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে ঐ দিন রোয়া বাজার চামটিলা মসজিদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল শেষে হামলা হয়েছে এবং মসজিদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে । এছাড়া রোয়া বাজারে মুসলমানদের মুদি দোকান, রেশন দোকান এবং একটি গোডাউনে অগ্নিসংযোগ হয়েছে।
৩। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৮টির উপর অপ্রীতিকর ঘটনা ত্রিপুরার ৫ জেলায় সংগঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মসজিদে অগ্নিকাণ্ড-৩টি, মসজিদে হামলা-১১টি, দোকান-পাটে অগ্নিকাণ্ড-৩টি, বাড়ী-ঘরে হামলা, ৪টি ।
৪। ত্রিপুরার কংগ্রেস দল উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আগরতলা শহরে কর্মসূচি পালন করেছে (ছবি ও ভিডিও সংযুক্ত)। এই ঘটনার জন্য তারা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরাংগী দল এবং ত্রিপুরা বিজেপি কে দায়ী করেছে।
সানবিডি/এনজে