ভারতের রাসায়নিক সহজলভ্য হওয়ায় বাংলাদেশের শঙ্কা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-৩০ ২০:১০:৩৬


ভারতের বাজারগুলোতে বিভিন্ন রাসায়নিক সহজলভ্য হওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে। এসব রাসায়নিক দিয়ে মাদককারবারিরা ইয়াবা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করে বাজারজাত করছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন রাসায়নিক দিয়ে তৈরি এ মাদককে বলে ‘সিনথেটিক ড্রাগ’। যার প্রতিরোধে সহযোগিতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) জানিয়েছে, বিশ্বে কেমিক্যাল উৎপাদন ও বাজারজাতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটির আসাম, চেন্নাই ও মহারাষ্ট্রে রাসায়নিক উৎপাদন হয় বেশি। ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত প্রায় সকল রাসায়নিকই সেখানে পাওয়া যায়। সেখানকার বাজার থেকে সেগুলো সহজে সংগ্রহও করা যায়।

বর্তমানে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এমন কেমিক্যালও ভারতে সহজলভ্য। বিষয়টি ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে (এনসিবি) লিখিতভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ভারতকে জানায়, ভারতে উৎপাদিত কেমিক্যালের মাধ্যমে দেশটির ভেতর অপরাধীরা ৩৪টি এবং অন্যান্য দেশে অন্তত ২২টি হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছে। অপরাধীদের হাতে এসব রাসায়নিক চলে যাচ্ছে সহজে। তারা এগুলো দিয়ে মাদকের পাশাপাশি বিস্ফোরকও বানাচ্ছে।

ভারতে অনুমতি ছাড়া এসব কেমিক্যাল সংগ্রহ করে বহনের অপরাধে দেশটি তাদের নিজেদের নাগরিকের পাশাপাশি আফগান ও নাইজেরিয়ান নাগরিকও গ্রেফতার হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই গ্রেফতারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ভারতকে বোঝাতে চেয়েছে, মাদক বানাতে অন্য দেশের নাগরিকরাও ভারত থেকে এসব রাসায়নিক সংগ্রহে তৎপর।

বাংলাদেশ আরও অভিযোগ করেছে, ভারতের বাজার থেকে সিউডোফেড্রিন, এফেড্রিন, অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইড বা ইথানয়িক অ্যানহাইড্রাইডের মতো কেমিক্যাল মাদককারবারিদের হাতে সহজে চলে যাচ্ছে। এসবের অপব্যবহার ঠেকাতে ভারতকে আরও সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে সিনথেটিক মাদক প্রতিরোধ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে আট ধরনের রাসায়নিক শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে। সেগুলো আমদানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি রয়েছে। কিন্তু ভারতকে এসব কেমিক্যালের উৎপাদন ও বিপণনে আরও সজাগ থাকতে হবে।’

সানবিডি/এনজে