বাণিজ্য মেলায় শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতা ও সেরা প্যাভিলিয়নের পুরষ্কার পেলো ওয়ালটন

প্রকাশ: ২০১৬-০১-৩১ ২২:২২:১১


Walton 2২১ তম ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যমেলায় শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতা এবং সেরা প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নের পুরষ্কার পেল ওয়ালটন। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা প্রতিষ্ঠানসমূহকে পুরষ্কৃত করা হয়। মেলার আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয় রবিবার সমাপনী দিনে ওয়ালটনকে পুরষ্কৃত করে। এর মধ্যে এবার মেলাতে দুইটি ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরষ্কার জিতে নিয়েছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইলস ও গৃহস্থালী পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নের পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাষ্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক (পিআর এন্ড মিডিয়া) মো. হুমায়ুন কবীর। অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ করদাতার পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (বিপণন) মো. এমদাদুল হক সরকার।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাণিজ্যমেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে এবারের মেলায়। বাণিজ্যও বিনোদনের সংমিশ্রণে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত মাসব্যাপী এ আয়োজন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। তিনি বলেন, এবার মেলায় রফতানি আদেশ এসেছে ৩০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। মেলার শেষ দিকে দিনে দুই লাখের উপরে ক্রেতা দর্শনার্থী ছিল। তিনি দাবি করেন, এবারের মেলা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরুহা সুলতানা প্রমুখ।

প্যাভিলিয়নের আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব নির্মাণশৈলী, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, দর্শক-ক্রেতার পছন্দ, বাংলাদেশে তৈরি বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বিক্রয় এবং প্রদর্শণ, সবচেয়ে বেশি বিক্রি ইত্যাদি বিবেচনায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করে মেলা কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছে ওয়ালটন। উল্লেখ্য যে, বাণিজ্য মেলায় যে সব ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার দেয়া হয় এটি তার মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার।

প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরির পুরষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয় তাহলো স্থাপত্যশৈলী, রফতানি কারক কিনা, পণ্যের ব্র্যান্ড ভ্যালু, প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন করে কিনা, প্যাভিলিয়নের লোকবল ও তাদের আচরণ, পরিষ্কার-পরিছন্নতা, বিক্রির পরিমান ইত্যাদি।
ওয়ালটনের পিআর এন্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, পুরষ্কার সবসময় দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। বাড়লো আমাদেরও। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পণ্য রপ্তানির দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। তিনি উল্লেখ করেন, ওয়ালটনকে বলা চলে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী পণ্যের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর।

অন্যদিকে সর্বোচ্চ করদাতার (সবচেয়ে বেশি মূসক বা ভ্যাট প্রদানের জন্য) পুরষ্কারও পেয়েছে ওয়ালটন। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন শনিবার পর্যন্ত ৩০ দিনে সর্বোচ্চ ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৪ টাকা কর প্রদান করে শীর্ষ করদাতার স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ক্যাটগরীতে ১৬ লাখ ২১ হাজার ৬০৬ টাকা ভ্যাট দিয়ে ২য় পুরষ্কার পেয়েছে হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড। আর ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়ে তৃতীয় হয়েছে র‌্যাগস ইলেক্সনিক্স।