ননী-তাহেরের রায় মঙ্গলবার

আপডেট: ২০১৬-০২-০২ ১১:১৯:৫৭


Adalotমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

এই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবাহান তরফদার ও গাজি এম এইচ তামিম।

পরে মামলার প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে প্রসিকিউশন সক্ষম হয়েছে।

প্রসিকিউটর বাদল দুই আসামির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাজা সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষ দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন। তাই এসব অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি পাওয়ার প্রত্যাশা করেন তারা।

তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দুজন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করতে গঠিত রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনা জেলা সদর ও বারহাট্টা থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তারা ‘কুখ্যাত রাজাকার’ হিসেবে পরিচিতি পান বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এদের মধ্যে তাহের স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে ননীসহ অন্যান্য রাজাকার সদস্যদের নিয়ে নেত্রকোনা শহরের মোক্তার পাড়ার বলয় বিশ্বাসের বাড়ি দখল করে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায়।

২০১৩ সালের ৬ জুন এ দুই আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। এক বছর চার মাস ২৮ দিন তদন্তের পরে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর দেওয়া হয় তদন্ত প্রতিবেদন।

প্রসিকিউশনের আবেদনে আদালত পরোয়ানা জারি করলে ওইবছর ১২ অগাস্ট দুই আসামিকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনার পুলিশ। পরদিন তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পাঠানো হয় কারাগারে।

প্রসিকিউশন এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

এরপর গতবছর ২ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে দুই আসামির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়। আসামি রাজাকার ওবায়দুল হক তাহেরের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়ায় ও আতাউর রহমান ননীর বাড়ি কেন্দুয়া এলাকায়।