ফের ৩ শতাংশ বেড়েছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১১-০৭ ১৪:০৯:৪৮


বিশ্বজুড়ে খাদপণ্যের দাম অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।গত মাসে এসব পণ্যের মূল্যসূচক এক দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এক মাসের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৩ শতাংশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

অক্টোবরে এফএওর খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক টানা তিন মাসের মতো বেড়েছে। এর মাধ্যমে খাদ্যপণ্যের দাম ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য সব পর্যায়েই অনুভূত হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে দরিদ্র পরিবারগুলো। এসব পরিবারকে তাদের আয়ের বড় একটি অংশই ব্যয় করতে হচ্ছে শুধু খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেই।

চলতি বছরে দেশে দেশে মহামারি করোনা নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ফলে প্রকট আকার ধারণ করে সরবরাহ সংকট ও সীমাবদ্ধতা। এসব কারণে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম চলতি বছর স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। উৎপাদনস্বল্পতা ও জ্বালানি তেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধিও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

সেপ্টেম্বরে এফএওর খাদ্যপণ্য মূল্যসূচক ছিল ১২৯ দশমিক ২ পয়েন্টে। কিন্তু গত মাসে সূচক ১৩৩ দশমিক ২ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এক বছরের ব্যবধানে সূচক ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে প্রধান জ্বালানি জুগিয়েছে ভোজ্যতেল ও শস্য।

এক মাসের ব্যবধানে এফএওর শস্যের মূল্যসূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা গমের। কৃষিপণ্যটির দাম ৫ শতাংশ বেড়ে নয় বছরের সর্বোচ্চে উঠেছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ মাসের ধরে গমের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।

গমের বিষয়ে এফএও বলছে, কানাডা, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান রফতানিকারক দেশগুলোয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে শস্যটির প্রাপ্যতা সংকুচিত হয়ে পড়ে। এটি বাজারদরে ধারাবাহিক চাপ সৃষ্টি করে।

ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক দাম ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় এফএও। এর মধ্য দিয়ে দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে। সংস্থাটি জানায়, পাম অয়েল উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ দেশ মালয়েশিয়া। চলতি বছর শ্রমিক সংকট দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন ব্যাহত করে। উৎপাদনে ধারাবাহিক নিম্নমুখিতা ভোজ্যতেলের বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। অক্টোবর পর্যন্ত টানা চার মাস ধরে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষা তেলের দামও।

সানবিডি/এনজে