কক্সবাজারে গুলিবিদ্ধ শ্রমিক লীগ সভাপতির মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-১১-০৭ ১৬:০৯:০২


কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের প্রবেশমুখ লিংকরোডে দুর্বৃত্তের হামলায় গুলিবিদ্ধ জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হামলায় নিহতের ছোট ভাই ঝিলংজা ইউপি নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী বর্তমান মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদারও গুলিবিদ্ধ হন। তিনিও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত ৫ নভেম্বর (শুক্রবার) রাত সোয়া ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও সিএনজিযোগে লিংকরোডের কুদরত উল্লাহর অফিসের সামনে এসে অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ জহির ও মেম্বার কুদরতকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুজনকেই রাতে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে মারা যান জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম।

নিহত জহিরের ভাগনে আলাউদ্দিন জানান, শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লিংকরোড এলাকায় যানবাহনে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা। পরে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সূত্র জানায়, লিংকরোডে কুদরত উল্লাহ তার ব্যক্তিগত অফিসে বসে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও তার বড় ভাই জহিরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল ও সিএনজি নিয়ে একদল লোক এসে অফিসের ভেতরে গুলি করে পালিয়ে যায়। পূর্বশত্রুতার জেরে একই ওয়ার্ডের অন্য মেম্বার প্রার্থী লিয়াকত ও তার বাহিনী এসে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন আহত কুদরত।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, গুলির ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যুর খবরে ভাঙচুর চালানোর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। অভিযোগ পেলে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ওসি।

সানবিডি/ এন/আই