ননী ও তাহেরের মৃত্যুদণ্ড
আপডেট: ২০১৬-০২-০২ ১৯:২৬:৫৭
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোণার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের বিরুদ্ধে ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ২৮৮ পৃষ্ঠার রায় পড়া শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওই দুই আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। রায় পড়া শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া এটি ২২তম রায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ননী-তাহেরের এ রায় ঘোষণা করেন। একই বেঞ্চ সোমবার এ রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১০ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় অপেক্ষমাণ রাখেন।
তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দু’জন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করতে গঠিত রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোণা জেলা সদর ও বারহাট্টা থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তারা ‘কুখ্যাত রাজাকার’ হিসেবে পরিচিতি পান বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এদের মধ্যে তাহের স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে ননীসহ অন্যান্য রাজাকার সদস্যদের নিয়ে নেত্রকোণা শহরের মোক্তার পাড়ার বলয় বিশ্বাসের বাড়ি দখল করে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন।
২০১৩ সালের ৬ জুন এ দুই আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। এক বছর চার মাস ২৮ দিন তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর দেওয়া হয় তদন্ত প্রতিবেদন। প্রসিকিউশনের আবেদনে আদালত পরোয়ানা জারি করলে একই বছর ১২ অগাস্ট দুই আসামিকে গ্রেফতার করে নেত্রকোণার পুলিশ। পরদিন তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পাঠানো হয় কারাগারে।