ধর্মঘটে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১১-০৮ ১৬:২৭:২৫


দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে ভাড়া বাড়ানোর পর গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও টানা চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন পণ্যবাহী যানবাহনের মালিকেরা।

এতে সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সীমিতভাবে পণ্য খালাস হলেও এখনো ডিপো থেকে বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে ঊর্ধ্বগতির কারণে ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজেল-কেরোসিনের দাম পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। গত ৩ নভেম্বর রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়।

এ নিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে পূবঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ধর্মঘটের তৃতীয় দিন রোববার দুপুরে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা আসার পর বিকেলেই গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। তবে চতুর্থ দিনের মতো সোমবারও ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন পণ্যবাহী যানবাহন মালিকরা।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ধর্মঘটের চতুর্থ দিনে কিছু পণ্য খালাস হলেও ডিপো থেকে বন্দরে মালামাল আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে। বন্দরে আরও ১১ হাজার টিইইউস কনটেইনার রাখা যাবে। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে পণ্যজট তৈরি হতে পারে।

সানবিডি/এনজে