চাঁদপুরে ৬ হাজার কোটি ব্যয়ে হচ্ছে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১১-৩০ ১৯:২৯:৫৫


চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত দাসাদী ও বিষ্ণুপুর মৌজার মেঘনার চারটি চরকে নিয়ে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জায়গা লাগবে ৬০০ একর। ব্যয় করা হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী এখানে জাপানের কয়েকটি বিনিয়োগ সংস্থা বিনিয়োগ করবে বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিনব্যাপী নদী গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক দল সাইট পরিদর্শন করে প্রকল্পের অবস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশ সরকারের নদী গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ৯ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইট পরিদর্শনে আসেন। আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে নদী গবেষণা কেন্দ্রের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন গবেষক টিমের প্রধান কাজী রেজাউল করিম।

চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড থেকে নদী গবেষণা কেন্দ্রের এই টিম স্পিডবোটযোগে প্রকল্প (প্রস্তাবিত) স্থানে যান। তারা প্রস্তাবিত প্রকল্পের চরগুলো পরিদর্শন করেন। সেখানে প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুনসুর আলম মুন্না গবেষক টিমের কাছে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

জানা গেছে, ব্লু-রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম গত বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর মেঘনার কয়েকটি চরে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক কাজ শুরু করে। এই সংস্থার সঙ্গে জাপানের কয়েকটি বিনিয়োগ সংস্থাও সংযুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি এই পর্যটন সংস্থা আর জাপানের কয়েকটি বিনিয়োগ সংস্থা যৌথভাবে দেশে এবং বিদেশে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ার কাজে যুক্ত রয়েছে। এর সঙ্গে চাঁদপুর জেলারও কয়েকজন রয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সাগর মাহমুদ বলেন, আমাদের পর্যটন সেক্টরটি এখনো পিছিয়ে আছে। এখানে আমরা পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে চাই। অনেকেই ভাবছেন এখানে কীভাবে পর্যটনকেন্দ্র করা সম্ভব? আমার বিশ্বাস সম্ভব। আমরা এখানে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র করব ইনশাআল্লাহ। আমার বিশ্বাস এই পর্যটন থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। এখানে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দেশের মানুষের বিনোদনের একটি স্থান তৈরি হবে। নদী গবেষণা কেন্দ্রের কাজ শেষ হওয়ার পরপরই এই প্রকল্পের কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু করা হবে।

সানবিডি/এনজে