রাজবাড়ীতে ডুবে গেছে ফসলি জমি
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-১২-০৬ ১৭:৪৮:৫২
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া নিন্মচাপের কারণে তিন দিনের বৃষ্টিতে রাজবাড়ীর কৃষি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শীতকালীন সবজির পাশাপাশি পেঁয়াজ ও গমের ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষিতে ক্ষতির আশঙ্কা এখই বলা সম্ভব নয়।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলা জামালপুর ইউনিয়নের হাতিমোহন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অব্যাহত বৃষ্টিতে বিভিন্ন জমি পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি ও পাতাকপির গাছগুলো মাটিতে পড়ে রয়েছে।
বেশ কিছু জমির কাটাধান পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। অনেক জায়গায় পেঁয়াজের বীজের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। কৃষকেরা জমির আইল কেটে পানি জমি থেকে পানি বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার এ বছর প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চলমান রয়েছে। যেখানে ক্ষতির ব্যাপক শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া জেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ চলমান রয়েছে।
বৃষ্টি আরও দুই তিনদিন অব্যাহত থাকলে মুড়িকাটা পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাছাড়া দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে শীর্ষ জেলারগুলোর মধ্যে রাজবাড়ীতে তৃতীয় অবস্থানে থেকে পেঁয়াজের আবাদ হয়। এ বছর ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। যার জন্য কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ (দানা) বপন করা হয়েছে।
কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, আমার পেঁয়াজ লাগানোর জন্য আধা কেজির বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। মাঠে দুইকাঠা মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম সেখানে পানি জমে রয়েছে। ফুলকপির গাছগুলো মাটিতে পড়ে রয়েছে। এখন কমদামে সবগুলো বিক্রি করতে হবে।
কৃষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে তুলে ধরে না। কৃষকদের কান্না তাদের কাছে পৌঁছায় না। নামমাত্র ভুর্তুকি দেয় কৃষি বিভাগ। দুই দিনের বৃষ্টিতে কৃষিতে প্রতি কৃষক পরিবারেই ক্ষতি হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক এসএম শহীদ নূর আকবর বলেন, বৃষ্টির মধ্যে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বৃষ্টির শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তবে কিছুটা যে ক্ষতি হয়েছে সেকথা বলাই যায়।
সানবিডি/ এন/আই