সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে ৪ স্কুলছাত্রকে অপহরণ

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-১২-০৯ ১৭:১৭:১৬


কক্সবাজার রামুর খুনিয়াপালং এলাকার চার স্কুলছাত্রকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণের পর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রামু থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপহৃতরা হলেন, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহিদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। অন্য ছাত্ররা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

রামু থানায় করা অভিযোগে বলা হয়েছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীম-এরসংগে বন্ধুত্ব তৈরি হয় চার স্কুলছাত্রের। সেই সুবাদে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। মূলতঃ ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দু’জনই রোহিঙ্গা নাগরিক। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। পরের দিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে তাদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ কাছিম-এর ছেলে ও তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহীম-এর বাড়িও সেখানে। তারা দু’জনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত ছিলো।

নিখোঁজ কায়সার-এর চাচা মোহাম্মদ তাহের বলেন, ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীরসহ চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে তাদের মুঠোফোন ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।

রামু থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, যেহেতু বিষয়টি টেকনাফে ঘটেছে। তাই তাদের সেখানে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। আমরা তাদের সহযোগিতার বিষয়টি তদন্ত করবো।

এএ