চুলের তিন মূল সমস্যার যাদুকরি সমাধান – ক্যাস্টর অয়েল
প্রকাশ: ২০১৬-০২-০৭ ২৩:১২:৩৫
প্রতিনিয়ত চুল নিয়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হই আমরা যার মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া এবং রুক্ষ চুল এই তিনটাই প্রধান। এই তিন সমস্যারই সমাধান দিতে পারে ক্যাস্টর অয়েল। ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেলে আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা সমানভাবে খুশকি, স্ক্যালপ্ (মাথার ত্বক) ইনফেকশন এবং ফলিকুলাইটিসের (চুলের গোড়ার প্রদাহ) বিরুদ্ধে কার্যকারি। এতে আছে রেসিনোলেইক এসিড যা স্ক্যাল্পের রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। রেসিনোলেইক এসিড স্ক্যাল্পের পিএইচ ব্যালেন্স করে যেটা চুলের প্রসাধনি যেমন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এসবের ক্ষতিকর কেমিক্যালকে নষ্ট করে মাথার ত্বককে সুস্থ্য রাখে।
ক্যাস্টর অয়েলে আরো আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা কিনা চুলের কিরাটিন অংশকে রক্ষা করে এবং চুলকে করে মজবুত। এতে করে চুলের আগা ফাটা এবং রুক্ষতা কমিয়ে চুলকে করে স্বাস্থ্যোজ্বল।
এই তেল বেশ ঘন বলে সরাসরি চুলে ব্যবহার করা যায় না। এর সাথে অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল কিংবা নারকেল তেল সমপরিমান মিশিয়ে অল্প গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এরপর শাওয়ার ক্যাপ বা গরম তোয়ালে পেচালে ভালো ফল পাওয়া যাবে। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। পুরো রাত রাখা সম্ভব না হলে কমপক্ষে দুই ঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন লাগাতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে এক মাসের মধ্যে চুল পড়া কমে আসবে এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করবে, চুলের আগা ফাটা ও রুক্ষতাও দূর হবে। তবে বংশগত টাকের ক্ষেত্রে এটা কার্যকরি নয়।
অনেকের ভ্রু এবং চোখের পাপড়ি কম থাকে। তারা রাতে শোবার আগে একটা কটন বাডে ক্যাস্টর অয়েল মেখে ভ্রু লাইনে এবং চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে রাখবেন, ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলবেন। এক মাসের মধ্যেই ভ্রু এবং চোখের পাপড়ি ঘন হতে শুরু করবে।