বিএনপি কখন নাই হয়ে যায় আশঙ্কা তথ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-১২-১৯ ১৯:১০:২১
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে একটা না রোগ দেখা দিয়েছে, সবকিছুতেই যেন না বলা। সংলাপে যাবে না, নির্বাচনে যাবে না, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যাবে না। এখন আমি আশঙ্কার মধ্যে আছি না না বলতে বলতে বিএনপিটা কখন নাই হয়ে যায়।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী এবং ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের দল বিএনপি ও জামায়াত বাংলাদেশে যদি নেতিবাচক রাজনীতি না করত এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র না করত তাহলে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে অনুরোধ জানাব, উনি শিক্ষিত লোক হয়ে যেন অশিক্ষিতের মতো কথা না বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগে তিনবার দেশ পরিচালনা করেছেন, এখন চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছেন, এ সময়েই দেশের অগ্রগতি-উন্নতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সেই জিডিপি গ্রোথ রেট এখনো আমরা অতিক্রম করতে পারিনি।
বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে আমি জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান মানুষ বলে জানতাম, কিন্তু দলকানা হতে গিয়ে তিনি এরকম বুদ্ধিহীন হয়ে গেছেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এটা আমাকে আশ্চর্য করেছে।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, এটি পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। ১৯৭০-৭১ সালে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। মাথাপিছু আয় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। সেই পাকিস্তান আজ মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক সূচকসহ সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকেও অতিক্রম করেছি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে বাংলাদেশে শতকরা ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে ছিল, সেটি এখন ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এগুলো আমার বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংক আইএমএফসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের বক্তব্য, তাদের সমীক্ষায় এগুলো উঠে এসেছে।
এসব যখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব দেখতে পারেন না, তখন দলকানা হওয়ার কারণে তিনি দেখেও দেখেন না বুঝেও বোঝেন না এবং স্বীকার করেন না।
এএ