বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করলেন সাকিব
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১২-২২ ০০:১১:২৩
ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেছেন। নতুন একটি ব্যাংকের মালিকানায় আসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যাংকটির প্রধান উদ্যোক্তা এম এ কাশেম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাসের এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ছবিও তোলেন সাকিব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান দুপুরের দিকে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে আমি শুনেছি। তবে ঠিক কী কারণে সাক্ষাৎ করেছেন, সেটি আমাকে অবহিত করা হয়নি।’
নতুন লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের সঙ্গে সাকিব ও তাঁর মা শিরিন আক্তার যুক্ত হচ্ছেন বলে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়। তাঁদের দুজনকে পরিচালক পদে অন্তর্ভুক্ত করে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে নথিপত্র পাঠিয়েছে পিপলস ব্যাংক। পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এম এ কাশেম বলেন, ‘সাকিব আগে থেকেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই তিনি আমাদের সঙ্গে আসতেই পারেন।’
নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত হিসেবে উদ্যোক্তাদের ৪০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন জোগানের কথা বলা হয়েছিল। আর কার্যক্রম শুরুর এক বছরের মধ্যে তা ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। অন্যদিকে উদ্যোক্তা হিসেবে কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারের। পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাকিব আল হাসান ব্যাংকটির দুটি পরিচালক পদ নিবেন। এই জন্য তিনি ৪০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক চলতি বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। আর চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। কিন্তু লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পিপলস ব্যাংক এখনো লাইসেন্স নিতে পারেনি।