পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না: বিএসইসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-১২-২৫ ১৬:০১:২৮


সূচকের ওঠা-নামা স্বাভাবিক উল্লেখ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের পূনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা এখন আর নেই।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দৈনিক বাণিজ্য প্রতিদিনের ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দৈনিক বাণিজ্য প্রতিদিনের চিফ রিপোর্টার গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর পরিচালক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান, ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পড়তি বাজারে কেনা শুরু করলে বাজারে উঠে যাবে।

‘পুঁজিবাজারে ওঠা-নামা স্বাভাবিক। বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নিম্নমুখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের আচরণ উল্টো।’ যোগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা কঠোরভাবে পুঁজিবাজার মনিটরিং করি। এখানে ২০১০ সালের পুনারাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই। কে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও ম্যানেজ করি না। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদের দোষারোপ করেন, লাভ করলে আবার কিছু বলেন না।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, যেকোনো ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পরিচর্যা ও সুপারভিশনের (তত্ত্বাবধান) দরকার পড়ে। এজন্য আমাদেরও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দেখভাল করতে হয়। এটা করতে গিয়ে অনেক কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষাও করতে হয়। সেখানে এমন সব তথ্য উঠে আসে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বসি। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানির টাকা পাচার ও অনেক কোম্পানির আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। এ ক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাচারকারীদের শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব অনেক উল্লেখ করে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এই খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন পুঁজিবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে গতি ফেরাতে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যথায় এ খাতে লেনদেনে গতি ফিরবে না। একইসঙ্গে এই খাতের উন্নয়নে প্রথম দুই বছর কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং আগামী বাজেটে ১৫ শতাংশ করের পরিবর্তে ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব দেন তিনি।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর

এএ