কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরও দুই মাস সময় পেলো মাউশি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১২-২৯ ১৭:০১:৫৪


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে করা ১৮৪টি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরকে আরও দুই মাস সময় দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

বুধবার সকালে কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানাতে মাউশি মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক হাজির হন দুদকে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মাউশির পরিচালক প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। তারা দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেন।

মাউশির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ১৮৪টি অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে এ পর্যন্ত মাউশি মহাপরিচালকের ডিজি কাছে ২৪০টি চিঠি পাঠায় দুদক।

বেলা ১টায় বৈঠক শেষে দুদক সচিব বলেন, মাউশির নেটওয়ার্ক অনেক বিস্তৃত। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকে। সবগুলো আমাদের তদন্তের পর্যায়ে পড়ে না। অধিকাংশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিছু অভিযোগ আছে তদন্তের অংশ হিসেবে পাঠিয়েছি মাউশিতে।

তিনি বলেন, মাউশির বেশ কিছু অভিযোগ পেন্ডিং ছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৮৪টি অভিযোগের মধ্যে কিছুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিছু উনারা তদন্ত করছেন। আবার কতগুলো মাউশি ট্রেস করতে পারছে না। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মাউশিতে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকবেন। যিনি অভিযোগ সংগ্রহ করবেন। তিনি মহাপরিচালকের নির্দেশক্রমে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমাদের জানাবেন। আবার তদন্ত করা বা কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, তিনি আমাদের জানাবেন।

সচিব বলেন, অন্য আরেকটি সিদ্ধান্ত হলো, যতগুলো নিষ্পত্তিহীন অভিযোগ আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি করতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাউশিকে সময় দেওয়া হয়েছে। উনারা কমিটমেন্ট দিয়েছেন, যতগুলো কাজ পেন্ডিং আছে, উনারা তা শেষ করে আমাদের জানাবেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে দুদক চিঠি পাঠিয়েছে। অথচ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা নেয়নি। এমন প্রতিষ্ঠান প্রধানকেও আগামীতে তলব করা হবে।

মাউশির অভিযোগের বেশিরভাগই নিয়োগ ও প্রকল্প সংক্রান্ত বলে জানান দুদক সচিব। তিনি বলেন, সব অভিযোগের সত্যতা থাকে না। একজন নিয়োগ না পেলে সে আরেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।

মাউশির মহাপরিচালক বলেন, পেন্ডিং অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে দুদক আমাদের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে।

মাউশিতে আসা দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনোটি দুদক তদন্ত করেছে, কোনোটি মন্ত্রণালয় করেছে। ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।

মাউশি পরিচালক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, কোভিডের কারণে অনেক অভিযোগ তদন্ত করা যায়নি। বছর শেষে আমরা দুদকে আপডেট দিয়েছি। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সানবিডি/ এন/আই