এভাবেও বেঁচে থাকা সম্ভব!

আপডেট: ২০১৬-০২-০৯ ১৪:১৫:৩৯


Siachen: Operations by the specialized teams of the Army and the Air Force in progress to search for the bodies of the soldiers hit by an avalanche, in Siachen on Monday. PTI Photo (PTI2_8_2016_000220A)

তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রিরও নীচে। ১০ জনই মারা গেছেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে ৬ দিন পর ২৫ ফুট বরফের নীচে থেকে উদ্ধার করা হলো ভারতীয় সেনা বাহিনীর ল্যান্সনায়েক হনুমানথাপা কোপ্পডকে। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

গত বুধবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সিয়াচেনে টহলদারির সময় ছয় হাজার মিটার উপরে, অন্তত আট মিটার গভীর তুষারে নীচে আরও নয়জন সৈনিকের সঙ্গে হনুমানথাপাও চাপা পড়েন।

অন্যরা সবাই মারা গেছেন। এরই মধ্যে সোমবার ল্যান্সনায়েক হনুমানথাপ্পা জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনী বলছে, তাকে তুষারের নীচ থেকে উদ্ধারের পর হিমবাহ থেকে নামিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতি বলছে, হনুমানথাপ্পার অবস্থা খুবই গুরুতর। আমরা আশা করছি, এই ‘মিরাকল’ (তাকে জীবিত পাওয়া) অব্যাহত থাকবে। আমাদের জন্য দোয়া করুন।

এছাড়া সোমবার বরফের স্তূপ থেকে পাঁচ সেনার মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। আর হনুমানথাপাকে জীবিত উদ্ধারের পর সেনাবাহিনী আরও জোরেশোরে তল্লাশি চালাচ্ছে।

গত বুধবারের ওই ঘটনার পরই ভারতীয় সেনাবাহিনী আর বিমান বাহিনী সৈনিকদের সন্ধানে ‘লাইন অব কন্ট্রোলের’ কাছাকাছি অভিযান শুরু করে। কিন্তু সেনাবাহিনী তখন জানিয়েছেন, সেখানে কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা খুবই কম।

এমনকি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একটি টুইটার বার্তায় সৈনিকদের জন্য শোকবার্তা জানিয়েছিলেন।

উত্তরাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুদা পিটিআইকে বলেন, ‘এটা অভাবনীয় উদ্ধার, ল্যান্সনায়েক হনুমান থাপ্পাকে উদ্ধারে আমরা সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছি। মঙ্গলবার ভোরে তাকে আরআর সেনা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘এরই মধ্যে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। আমরা ধারণা করছি, বাকি সৈন্যরা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’

ডি এস হুদা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘হনুমান থাপ্পা যেভাবে হিমবাহে বেঁচে ছিল, এখনও সব কিছুকে জয় করে আমাদের মাঝি ফিরে আসবেন।’

সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র বলে পরিচিত। এই জায়গার দাবি করছে ভারত ও পাকিস্তান, উভয় দেশ। ফলে এখানে দু’দেশের সৈন্যরাই টহল দেয়।

গত মাসেও আরেকটি তুষার ধসে চারজন ভারতীয় সৈনিক নিহত হয়েছিল।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস