শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতকরা ৪৬ ভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-১২-৩০ ১৮:৪৯:২৩


চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর শতকরা ৪৬ ভাগ বাস্তবায়ন করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পর্যালোচনায় সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পের বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

এর মধ্যে জিওবিখাতে ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক; তবে আরও ভালো করতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড পরিদর্শন এবং ২০২১-২০২২ মৌসুমের আখ মাড়াই উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে জানান, চিনি শিল্পের অব্যাহত লোকসান কাটিয়ে উঠতে উচ্চ ফলনশীল আখের জাত উদ্ভাবনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

পাশাপাশি কল-কারখানাগুলোর আধুনিকায়নের কাজ চলবে।

একইভাবে অন্যান্য খাতে লোকসান কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা ও দপ্তর প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রী কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে দ্বিতীয় একটি ইউনিট খোলা এবং টঙ্গীতে করপোরেশনগুলোর মালিকানায় থাকা অব্যবহৃত জায়গাগুলো কাজে লাগানোর জন্য নতুন প্রকল্প প্রণয়নের নির্দেশ দেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মন্থর গতিতে চলছে, কৃষকের দোরগোড়ায় সার সরবরাহ পৌঁছে দিতে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সারের মূল্য বৃদ্ধি, ওজনে কম, সারের বস্তায় ওজনে কম দেওয়া সিন্ডিকেটকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিসিকের জায়গা যাতে বেহাত না হয় এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সকলের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

এএ