প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১২-৩১ ১৬:৫৬:১৫


দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে শপথ পড়ান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

শপথবাক্যে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের কর্তব্য পালন করিব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব; আমি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান করিব; এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব।’

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। ওইদিনই অবসরে যান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শুক্রবার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

শুক্রবার বঙ্গভবনের দরবকার হলে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পরে নিয়ম অনুযায়ী নতুন প্রধান বিচারপতি শপথনামায় সই করেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ১৯৭২ সালে খোকসা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন। এর পর তিনি ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। তিনি ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। এর পর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর পর ২০১৩ সালের মার্চ মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল তাকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত বছর ৩ মে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পুনর্নিয়োগ পান তিনি।

এএ