ইইউ বাজারে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে উদ্যোগের তাগিদ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-০২ ১৫:৩৬:৫৯


বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাজারটিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ থাকবে। ওই সুবিধা অব্যহত রাখা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এখন থেকেই জোরদার উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে আলোচনা হবে সরকারের মধ্যে। তবে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে বেসরকারি খাতে। এজন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে এখনই পলিসি ডায়ালগের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার একটি রূপরেখা তৈরি করা দরকার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ত্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘এই বিষয়টি হচ্ছে দুই সরকারের সঙ্গে আলোচনা। সেখানে বেসরকারি খাত সম্পৃক্ত হতে পারবে না। আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি তারা যেন তাদের সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করে।’

২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে এবং এরপর উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রুলস অফ অরিজিনের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি এটি একান্তই না পাওয়া যায় তবে এখনই সরকারের সঙ্গে পলিসি ডায়ালগ করা দরকার, কীভাবে ২০২৯ সালের মধ্যে আমরা সক্ষমতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে পারি।’

রাকিব বলেন, ইইউ শুধুমাত্র বাণিজ্য বিষয় বিবেচনা করে জিএসপি প্লাস দেবে না। এরসঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ইইউ এর নিজস্ব স্বার্থসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। ইইউ শুধুমাত্র বাণিজ্য অংশীদার নয়, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন পথযাত্রায় বড় অংশীদার। একমাত্র ইইউ এলডিসি থেকে উত্তরনের পর তিন বছর সব সুবিধা বহাল রাখে।

তিনি বলেন, ২০২৪ এর ১ জানুয়ারি থেকে নতুন জিএসপি রেগুলেশন বলবৎ হবে। ওই নতুন রেগুলেশনে বাংলাদেশের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক আছে। রেগুলেশন এখন যে পর্যায়ে আছে ২০২৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে এবং এরপরে জিএসপি প্লাসে আমাদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।

তপন কান্তি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ইইউ এককভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে গেলে জিএসপি প্লাসের জন্য আবেদন করতে হয়। তখন তারা যাচাই-বাছাই করে। ইইউ সবসময় স্বল্পোন্নত দেশ বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন মাথায় রেখে তাদের বাণিজ্যনীতি প্রণয়ন করে। আমরা আশা করি এটি বাংলাদেশের জন্য বহাল থাকবে।

সানবিডি/এনজে