মধুমতি নদীর নির্মিতব্য রেলসেতু পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-০৪ ১৯:৫৭:২৪


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ নড়াইল ও গোপালগঞ্জের’ মধুমতি নদীর উপর নির্মিতব্য রেলসেতু প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন । আজ মঙ্গলবার নড়াইলের লোহগড়া প্রান্তে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি এই প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এছাড়াও মঙ্গলবার মধুমতি আর্মি ক্যাম্প পরির্দশনসহ লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর করফা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় গরীব ও দুস্থ দুই হাজার জনগণের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান বলে জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

এ বিষয়ে আইএসপিআর জানিয়েছে, লোহাগড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণকালে সেনাপ্রধান বলেছেন, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরণের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধানের দিক-নির্দেশনায় প্রতি বছরের মত এ বছরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীত মৌসুমে বিভিন্ন এলাকার অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ নানাবিধ জনসেবামূলক কাজ পরিচালনা করছে।

এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান লোহাগড়ায় পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন এবং ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও যশোর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. নূরুল অনোয়ার। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের সঙ্গে নিয়ে মধুমতি নদীর উপর নির্মিতব্য রেল সেতু প্রজেক্ট ও মধুমতি আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

আইএসপিআর জানায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় নয়টি জেলা রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে। এই রেলপথ ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, যশোর এবং খুলনা জেলাকে রেলপথ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করবে। প্রকল্পটি ২০১৮ সালে জুলাই মাসে শুরু হয় এবং ২০২৪ সালের জুলাই মধ্যে সমাপ্ত হবে। প্রকল্প সমাপ্তির পর জাতীয় অর্থনীতিতে আনুমানিক ১.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে আশা করা যায়। সরকারের জি টু জি প্রকল্পের আওতায় চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে রেল মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পে ‘চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্মরত রয়েছে। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্প সুপারভিশন এবং পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে। প্রকল্পে ১৭২ কি. মি. রেলপথে মোট ৫৯টি রেলসেতু, ১২৪টি কালভার্ট ও ১৩২ টি আন্ডারপাসসহ মোট ২০ টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সানবিডি/এনজে