বদলগাছীতে শিক্ষা মেলার উদ্বোধন
প্রকাশ: ২০১৬-০২-১০ ২১:১২:৩৭
নওগাঁর বদলগাছীতে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষা মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলার বদলগাছী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ের আগে সকাল সোয়া ১০ টায় স্কুল ছুটি দেওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা চরম বিপাকে পড়েছে।
গতকাল সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্দ্যেগে উপজেলা চত্বরে ১ দিন ব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা অলী আহম্মেদ রুমী চৌধুরী।
সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন শওকত এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানাউল হাবীব ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমূখ।
জানা যায়, শিক্ষামেলার কারনে বদলগাছী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যথা সময়ে ছুটি না দিয়ে হঠাৎ করে সকাল সোয়া ১০ টায় ছুটি প্রদান করলে শিশু শ্রেণী, ১ম শ্রেণী ও ২য় শ্রেনীর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়ে। কারন তাদের অভিভাবকেরা যথা সময়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থিদের স্কুলে নিয়ে আসে এবং বাড়ি নিয়ে যায়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হঠকারি সিদ্ধান্তের কারনে স্কুল ছুটির পর কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং এদিক সেদিকে ছুটা ছুটি করে ।
নির্ধারিত সময়ে পূর্বে স্কুল ছুটির দেওয়ায় অভিভাবকেরা তাদের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের নিতে এসে তারাও চরম বিপাকে পড়েন। অনেক অভিভাবক মায়েরা তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পেলে ও অনেকে না পেয়ে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন। এমন কয়েক জন শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপজেলার কাদিবাড়ি গ্রামের ফেন্সি আরা বলেন সে প্রতিদিনের ন্যায় যথা সময়ে স্কুলে এসে দেখে তার ছেলে ২য় শ্রেণীর ছাত্র ফুয়াদ স্কুলে নেই। তখন সে জানতে পারে স্কুল প্রায় ১ ঘন্টা আগে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তখন সে হতাশায় ভেঙে পড়ে এদিক সেদিক তার ছেলেকে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজা খুজির পর শিশু ফূয়াদকে ছোট যমুনা নদীর ধারে পাওয়া যায়।
এমন অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের স্বপন। তার মেয়ে শশিকে তিনি খুঁজে পেতে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অভিভাবক পিন্টু সহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক অভিভাবক প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে এমন সিদ্ধান্তকে উদাসিনতা ও দায়িত্ব জ্ঞানহীন ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন।
তবে একজন প্রধান শিক্ষকের এমন উদাসিনতার কারনে কোন শিশু শিক্ষার্থীর দুর্ঘটনা ঘটলে এ দায়িত্ব কে বহন করত বলে প্রশ্ন তোলেন। কারন বাড়িতে সন্তানদের অভিভাবক তার বাবা, মা বা তার বড় ভাই বা বোন। অনুরুপ স্কুলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করে বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো । উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানাউল হাবিব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা মেলা দেখাবেন বলে জানিয়ে ছিলেন।
শিক্ষা মেলা উপলক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের আগে স্কুল ছুটি দেওয়ার কোন বিধান আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নির্ধারিত সময়ের পূর্বে স্কুল ছুটি দেওয়ার বিধান নেই।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ