দেশে মাত্র ৫৬ ভাগ ইটভাটা বৈধ: পবা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-১৫ ২০:১৭:৩২
দেশে ইট পোড়ানোর মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, লোকালয় ও বনাঞ্চলের আশেপাশে, পাহাড়ের পাদদেশে এবং দুই বা তিন ফসলি কৃষি জমিতে ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও অনেক ইটভাটায় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে পরিবেশগত বিপর্যয়সহ জীব-বৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। বিগত বছরগুলোর মতো চলতি মৌসুমেও পরিবেশ অধিদফতরের পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া দেশের বিভিন্ন ভাটায় অবৈধভাবে ইট পোড়ানো হচ্ছে। দেশের মাত্র ৫৬ ভাগ ইটভাটা বৈধ।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কলাবাগানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) কার্যালয়ে ‘ইটভাটার বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান।
আবু নাসের খান বলেন, পরিবেশ অধিদফতর বিভিন্ন সময় বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত বৈধভাবে আমদানিকৃত কয়লা অত্যন্ত নিম্নমানের ও উচ্চ সালফার যুক্ত যার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক বায়ুদূষণ।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, আধুনিক, পরিবেশ বান্ধব ও জ্বালানী সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার, নির্ধারিত মাত্রার সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার, জ্বালানী হিসাবে কাঠ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং সংশ্লিষ্ট আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ-এর মাধ্যমে ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ভাটার মালিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
এএ