প্রাথমিক স্কুলে প্যানেলভুক্তদের নিয়োগে বাধা নেই

প্রকাশ: ২০১৬-০২-১১ ১২:৫০:১৮


Primary-Educationজাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেলভুক্ত ১০ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এতে তাঁদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে প্যানেল শিক্ষকদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিকুল হক ও আবদুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদেশের পর সাংবাদিকদের সিদ্দিকুল্লাহ মিয়া বলেন, ২০১৪ সালের ১৮ জুন এই ১০ শিক্ষককে নিয়োগ দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। গত বছরের ৭ মে আপিল বিভাগ ওই আপিলও খারিজ করে দেন। এর পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে। আজ সেটিও খারিজ হওয়ায় ওই ১০ শিক্ষককে নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।

২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তির তিন নম্বর শর্তে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল পরীক্ষা হয়। এতে উত্তীর্ণ হওয়া ৪২ হাজার ৬১১ জনকে নিয়োগের জন্য একটি প্যানেল গঠন করা হয়।

এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা এক পরিপত্রে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের কথা জানানো হয়। ওই সময় প্রায় ১৪ হাজারের মতো নিয়োগও দেয় সরকার। এতে মেধা তালিকার প্রথম দিকে থেকেও অনেকে নিয়োগ বঞ্চিত হন। ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলে প্যানেল থেকে নিয়োগ দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর নিয়োগবঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত শফিকুল ইসলাম, হাফিজ আল আসাদসহ নওগাঁর মহাদেবপুরের ১০ জন শিক্ষক ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৮ জুন দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন এবং রিট আবেদনকারী ১০ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যরা আপিলের অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেছিল।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস