খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছার সম্ভাবনা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-১৬ ২০:২১:৫৪
বর্তমানে খাদ্যশস্য উৎপাদন নিয়ে জটিলতার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ। এ পরিস্থিতির মধ্যেই খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)। সর্বশেষ প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০২১-২২ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছবে।
এ বিষয়ে মাসভিত্তিক খাদ্যশস্যের বাজারবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মৌসুমে বৈশ্বিক উৎপাদন ২২৮ কোটি ৬০ লাখ টনে পৌঁছবে, যা গত মৌসুমের তুলনায় ৭ কোটি ১০ লাখ টন বেশি। চলতি মৌসুমে খাদ্যশস্যের ব্যবহার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। উৎপাদনের তুলনায় ব্যবহার বাড়লে মজুদ কমে যেতে পারে। মৌসুম শেষে মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ কোটি ১০ লাখ টনে। এ নিয়ে টানা পাঁচ মাসের মতো মজুদ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিল আইজিসি।
সংস্থাটি জানায়, গত বছরের নভেম্বরে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, তার তুলনায় চলতি মাসে উৎপাদন পূর্বাভাস ১০ লাখ টন কমানো হয়েছে। এর পরও বৈশ্বিক উৎপাদন রেকর্ড পর্যায়ে অবস্থান করবে। প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় ভুট্টা উৎপাদন কমবে। একই সঙ্গে কমতে পারে ওটস, যব ও রাই উৎপাদন। তবে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে প্রভাবকের ভূমিকা রাখবে অস্ট্রেলিয়া ও আর্জেন্টিনা।
কাউন্সিলের প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন আরো বেড়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে ব্যবহারও। ফলে আগামী বছরও বৈশ্বিক মজুদ বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা, ২০২৩ সালের মধ্যে বৈরী আবহাওয়াসহ চলমান প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটবে।
আইজিসি জানায়, চলতি মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য ৪২ কোটি ৩০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। আগের পূর্বাভাসে ৪২ কোটি ১০ লাখ টন বাণিজ্যের পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। গমের বৈশ্বিক বাণিজ্য কভিডের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। এমনকি পণ্যটির বাণিজ্য রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে বলেও ধারণা করছে সংস্থাটির বিশ্লেষকরা। পূর্বাভাস অনুযায়ী, গমের বৈশ্বিক বাণিজ্য ১৯ কোটি ৬০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে।
সানবিডি/এনজে