বিলবাওকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতল রিয়াল

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-১৭ ১০:৪৮:০৭


সৌদি আরবের রিয়াদে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে ১২ বার স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতল রিয়াল।

রোববার রাতের ফাইনালে ২-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। লুকা মদ্রিচ দুর্দান্ত গোলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান করিম বেনজেমা।

নির্ধারিত সময়ের ঘটনাবহুল শেষ কয়েক মিনিটে পেনাল্টি পায় বিলবাও। এদের মিলিতাও লালকার্ড দেখায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় রিয়াল। তবে কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে পারেননি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

বলদখলে এগিয়ে থাকা রিয়াল গোলের উদ্দেশ্যে ১৩ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের পারফরম্যান্স অবশ্য ভালো ছিল না। ১৩ শটের ১১টিই তারা নেয় বিরতির আগে। অন্যদিকে শেষ ২০ মিনিটে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখা বিলবাও পুরো ম্যাচে ১৩ শটের মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে, যেখানে প্রথমার্ধে তারা শট নিয়েছিল চারটি।

বার্সেলোনার বিপক্ষে সেমিফাইনালে গোল পাওয়া দুই ফরোয়ার্ডের বোঝাপড়ায় ম্যাচের ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। ভিনিসিউস জুনিয়রের বাড়ানো বল ডি-বক্সের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন বেনজেমা। তবে একটুর জন্য সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বলদখলের পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য করা রিয়াল আট মিনিট পর আরেকটি সুযোগ তৈরি করে। যদিও এ যাত্রায় ডান দিক থেকে কাসেমিরোর কোনাকুনি শট তেমন ভাবাতে পারেনি গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে।

চাপ ধরে রেখে ৩৮তম মিনিটে সাফল্যের দেখা পায় রিয়াল। নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের পাস পেয়ে মদ্রিচ ডান দিকে রদ্রিগো বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যান। ব্রাজিলিয়ান তরুণ ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের তিন জনের মধ্যে থেকে ছোট করে কাটব্যাক করেন আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।

বিরতির পরও একইভাবে শুরু করা রিয়াল ৫২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ডি-বক্সের মুখ থেকে বেনজেমার শট ডিফেন্ডার জেরাই আলভারেসের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে নিজেই গোলটি করেন ফরাসি স্ট্রাইকার।

দারুণ ছন্দে থাকা বেনজেমা এবার বিলবাওয়ের বিপক্ষে গোল করেই চলেছেন। লা লিগায় চলতি আসরে দুইবারের দেখায়ই গোল পেয়েছেন। গত ডিসেম্বরের শুরুতে তার একমাত্র গোলেই দলটিকে হারায় রিয়াল। পরে বড় দিনের আগে ফিরতি দেখায় দলের ২-১ ব্যবধানের জয়ে দুটি গোলই করেন ৩৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।

৬৪তম মিনিটে কঠিন হলেও একটি সুযোগ আসে বিলবাওয়ের সামনে। তবে দাভিদ আলাবার চ্যালেঞ্জের মুখে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রাউল গার্সিয়া। ৭৬তম মিনিটে এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের হেড লাগে পাশে জালে।

বাকি সময়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বিলবাও। কিন্তু নিশ্চিত সুযোগ মিলছিল না।

এরই মাঝে ৮৬তম মিনিটে গার্সিয়ার হেড গোলমুখে মিলিতাওয়ের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে দেখান লাল কার্ড।

স্পট কিক ঠেকাতে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কোর্তোয়া, কিন্তু গার্সিয়া শট নেন সোজাসুজি। বলে চোখ রেখে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক।

একজন কম থাকলেও বাকিটা সময় প্রতিপক্ষেকে আর কোনো সুযোগ না দিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে ২০১৯-২০ আসরেও এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রিয়াল।

গত মৌসুমটা শিরোপাশূন্য কাটানোর পর সংক্ষিপ্ত পরিসরের এই প্রতিযোগিতা জিততে মরিয়া ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর পর এবার দাপুটে পারফরম্যান্সেই মুকুট মাথায় পরল ইউরোপের সফলতম দলটি।

সানবিডি/এন/আই