বাংলাদেশে ‘কিচেন মার্কেট’ করবে ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-১৭ ১৫:২৯:২৬
বাংলাদেশে একটি কিচেন মার্কেট করার বিষয়ে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় মন্ত্রীর দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী-সুলভ বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। আজকে ভারতের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাত করতে এসেছেন। উভয় দেশের মধ্যে যে নিবিড় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে তা অব্যাহত থাকবে। উভয় দেশই নিজ নিজ দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবো ও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত সরকার আমাদের উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে চায়। আর্থিকভাবে তারা অবদান রাখতে চায়। বিশেষ করে কিচেন মার্কেট তারা করতে চায়, সেখানে তারা একটা বড় প্রস্তাব দিয়েছে আলোচনা হয়েছে। যখন তারা এ বিষয়ে আমাদের জানাবেন তখন আমরা উদ্যোগ নেবো।
মার্কেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে, পৌরসভা বা উপজেলায় যেসব জায়গা রয়েছে সেখানে সবজি মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার করছি। এখন তারা তাদের পক্ষ থেকে করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
সে বাজারে নিত্যপণ্য কি তারা আনবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বাজারে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু আনবে না, আমাদেরটাও তারা নেবে না। সেখানে শুধু অভ্যন্তরীণভাবে স্থানীয় জনগণের উৎপাদিত তৈরি ক্রয়-বিক্রয় হবে। বর্তমানে সে ক্রয়-বিক্রয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে হয় সেটাকে একটা কাঠামোর ভেতরে সুন্দরভাবে হয় সেজন্য তারা কিচেন মার্কেট তৈরি করে দেবে।
এই মার্কেট খুব একটা ব্যয় বহুল না, সেটা আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ এ মার্কেট তৈরি করা খুব ব্যয়বহুল না। আমরা নিজেদের উদ্যোগে করছি। তারা যখন বন্ধুত্বের নির্দশন স্বরূপ কিছু অবদান রাখতে চায়। সেখানে আমার মনে হয় না কোনো দোষের কিছু হবে।
এছাড়া অন্যকোনো বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তেমন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি শুধু আমরা উভয় দেশ যেন স্ব স্ব দেশকে সম্মান প্রদর্শন করি এ বিষয়গুলোই আলোচনা হয়েছে।
কিচেন মার্কেটগুলো কি নিদিষ্ট কোনো জেলায় করতে চাচ্ছে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের কারণে প্রতিদিনই আমাদের কাছে কিছু বিদেশি সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীরা আসেন। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমাদের ও দেশের জন্য যেটা কল্যাণকর ও উপকারী সেগুলো আমরা গ্রহণ করি।
ভারত সরকার মার্কেট করে দেবে বিষয়টি কী এমন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মার্কেটগুলো আমরা করবো তবে অর্থায়ন তারা করবে। তারা আমাদের চিঠি দেবে। তারপর আমরা সেটা দেখবো। তারপর তাদের সঙ্গে আমাদের ন্যাগোসিয়েশন হবে, তারা হয়তো একটা মডেল দেবে, সেটা আমরা গ্রহণ করতেও পারি আবার নাও পারি। তারা বলেছে আমরা আমাদের নিজেদের মতো করলে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
অবকাঠামো উন্নয়ন খাতের জন্য কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তাদের অন্য প্রকল্প আছে সেগুলো নিয়ে তারা সময় সময় সেসব বিষয় নিয়ে বলে। লাইন অব ক্রেডিডসহ যেসব প্রকল্প আমাদের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সানবিডি/এন/আই