তামাবিল স্থলবন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-১৭ ১৭:২৮:৩৩
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ১০ দিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে।অটো এসএমএস পদ্ধতিতে পাথর আমদানির সরকারি সিদ্ধান্তের পর ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিলে এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অন্যদিকে জিরো লাইনের সড়ক মেরামত কাজ শেষ হওয়ায় আজ ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর আমদানি শুরু হবে। ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ ট্রাক পাথর আমদানি হতো, কিন্তু ১০ দিন ধরে এ বন্দরে কোনো পাথর আসছে না। আমদানি বন্ধ থাকায় এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
পাথর আমদানিকারকরা জানান, এতদিন ভারত থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফিতা দিয়ে মেপে পাথর আমদানি করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে তামাবিল স্থলবন্দরে অটো এসএমএস সফটওয়্যার চালু করা হয়। এক পাশ থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এনে অন্য পাশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাপ কখনো সমান হবে না।
তাদের অভিযোগ, ভারতের ব্যবসায়ীরা পাথর রফতানি করেন ফিতা দিয়ে মেপে। ফিতা দিয়ে মাপা বোল্ডার পাথরের সঙ্গে থাকা পানি ও মাটির কারণে ওজনে তারতম্য হয়। ফলে ভারত থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতির কাগজ নিয়ে এসে স্থলবন্দরের বাংলাদেশ অংশে এসে বেকায়দায় পড়তে হবে আমদানিকারকদের। সব তথ্য নতুন করে দেয়ার সঙ্গে ওজনের কম-বেশীর জন্য গুনতে হবে জরিমানা।
এছাড়া প্রতিটি গাড়ি ওজন করতে সময় লাগবে ৭-৮ মিনিট। ফলে নির্ধারিত সময়ে দুশ’র বেশি গাড়ি বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়বেন। ভারতের স্থলবন্দরে চলমান নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দুদেশের স্থলবন্দরে সমন্বয় হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ বন্দরে অটো এসএমএস সফটওয়্যার পদ্ধতি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সিলেটের শীর্ষ পাথর আমদানিকারকদের মধ্যে অন্যতম জালাল উদ্দিনবলেন, তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা প্রধান পণ্য হচ্ছে পাথর। তাই এটি আমদানি-রফতানিতে দুদেশের সমন্বয় প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা একমত। তবে এ প্রক্রিয়া ব্যবসাবান্ধব হতে হবে।
তামাবিল কয়লা-পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী বলেন, বন্দরের দুদিকে একই পদ্ধতিতে অটোমেশিন চালু হলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে না। ভারত অংশের স্থলবন্দরে অটোমেশিন পদ্ধতি চালুর আগ পর্যন্ত দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনার দাবি জানান তিনি।
তামাবিল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মো. মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গত ৭ জানুয়ারি থেকে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অটো এসএমএস সফটওয়্যার পদ্ধতি চালু হয়েছে। এতদিন শুধু ওজন মাপার স্কেল চালু ছিল। তবে ব্যবসায়ীরা তাতে আপত্তি জানিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
সানবিডি/ এনজে