সয়াবিন তেলের বাজারদর ৪ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-১৮ ১৪:১১:৫৭


গত বছর আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সংকটের কারণে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারও ছিল চড়া। ফলে বিকল্প হিসেবে কদর বাড়ে সয়াবিন থেকে উৎপাদিত বায়োডিজেলের। এছাড়া পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসেবেও পণ্যটি সমাদৃত। ব্যবসায়ীরা কম খরচে জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি শুরু করেন। ফলে গত বছর এ তেলের গড় দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যায়। চলতি বছরও বাজারদরে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনডেক্স বক্সের এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছর সয়াবিন তেলের আন্তর্জাতিক বাজারদর প্রায় ৪ শতাংশ বাড়তে পারে। সে হিসাবে প্রতি টনের গড় দাম ১ হাজার ৪২৫ ডলারে পৌঁছবে।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা বলছেন, বায়োডিজেল উৎপাদনে সয়াবিন তেলের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। জ্বালানি পণ্যটি উৎপাদনে সয়াবিন তেলের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোয় চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছর সয়াবিন তেলের বার্ষিক গড় দাম আগের বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বাড়ে। প্রতি টনের মূল্য ৮৩৮ থেকে ১ হাজার ৩৮৫ ডলারে উন্নীত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দ্রুত দাম বেড়েছে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর)। এক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে দক্ষিণ আমেরিকা। এ অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়াজনিত কারণে উৎপাদন ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশগুলো সরবরাহ নিশ্চিতে বিপাকে পড়ে। বিশেষ করে গত বছর চীনে পণ্যটির শক্তিশালী চাহিদা তৈরি হয়। পাশাপাশি বিশ্বে অতিরিক্ত জাহাজ ভাড়াও মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ভারত বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন তেল আমদানিকারকের তকমা ধরে রেখেছে। এক্ষেত্রে শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে আর্জেন্টিনা।

সানবিডি/এনজে