বাবা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে নারী বিদ্রোহী! (ছবিসহ)
প্রকাশ: ২০১৬-০২-১১ ১৭:৩৪:০৯
কলোম্বিয়ার সরকারের সঙ্গে ফার্ক বিদ্রোহীদের কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতে দুই লক্ষেরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে৷ ফার্কে অনেক নারী বিদ্রোহীও রয়েছে৷ কলোম্বিয়ার নারী বিদ্রোহীদের বিরল কিছু ছবি নিয়ে আজকের আয়োজন।
সৎ বাবা ধর্ষণের পর :
জুলিয়ানাকে তার প্রেমিক অ্যালেক্সিসের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷ ১৬ বছর বয়সে জুলিয়ানের সৎ বাবা তাকে ধর্ষণ করলে সে পালিয়ে গিয়ে ফার্কে যোগ দেয়৷ এ মুহূর্তে ফার্কের সঙ্গে সরকারের যুদ্ধবিরতি চলছে৷ অচিরেই একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে৷ এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কারণে ফার্ক বিদ্রোহীদের জঙ্গলের জীবন সম্পর্কে এ সব বিরল ছবি ও বিষয় জানা গেছে৷
রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছা :
প্রায় সাত হাজার ফার্ক গেরিলাদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী৷ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সরকারি সেনাদের গতিবিধি শনাক্তকরণ – এ সব কাজ করে নারী গেরিলারা৷ তবে কিউবায় চলা শান্তি আলোচনা সফল হলে পরবর্তীতে কীভাবে জীবন কাটাবে সেই পরিকল্পনা করছে গেরিলারা৷ জুলিয়ানার ইচ্ছা রাজনীতিতে ঢোকা৷
মেয়েরা বেশি নির্দয়! :
ফার্ক নারী গেরিলারা অন্য মেয়েদের মতোই ঠোঁটে লিপস্টিক আর নখে নেইলপলিশ দেয়৷ কিন্তু তারা নাকি বেশ নির্দয়! কলোম্বিয়ার এক সরকারি সেনা ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে বলেন, ফার্কের হাতে ধরা পড়লে আপনাকে এই প্রার্থনা করতে হবে যেন পুরুষ গেরিলাদের হাতে ধরা পড়েন৷ কেননা নারী গেরিলারা বেশ নির্দয় আচরণ করে৷
মা হতে বাধা! :
অভিযোগ আছে ফার্কের নারী বিদ্রোহীদের মা হওয়া নিষেধ৷ যদি কেউ হয়ে যায় তাহলে তার কাছ থেকে বাচ্চাকে জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়৷ আর যদি গর্ভধারণের খবর আগেই জানা যায় তাহলে জোরপূর্বক গর্ভপাতের ব্যবস্থা করানো হয়।
নারীদের কাছে মেন্টর :
ইনার নাম ইরা কাস্ত্রো৷ ফার্কের মধ্যম পর্যায়ের এই কর্মী অন্য নারী বিদ্রোহীদের কাছে মেন্টরের মতো৷ ছবিই বলে দিচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তার একটা বেশ সখ্যতা রয়েছে৷ কিউবায় তিন বছর ধরে চলা সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তিনি অংশ নিচ্ছেন৷
ক্যাম্পের পরিবেশ :
ছবিগুলো তোলা হয়েছে কলোম্বিয়ার গহীন জঙ্গলে অবস্থিত অ্যান্টিওকিয়া ক্যাম্প থেকে৷ ঐ জঙ্গলে বিষধর সাপসহ রয়েছে প্রায় ২০ প্রজাতির উদ্ভট ধরনের ব্যাঙ৷
পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে চায় সিন্ডি :
পিস্তলটি পরিষ্কারের পর বৃষ্টির পানি আর আর্দ্রতা থেকে বাঁচাতে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখছে সিন্ডি৷ ১৮ বছর বয়সে ফার্কে যোগ দেয়া সিন্ডি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায়৷ এরপর রাজনীতিতে যোগস দিতে চায়৷ আর চায় জনগণকে শিক্ষিত করে তুলতে৷
অস্ত্রের সঙ্গে বাস :
ছবিই বলে দিচ্ছে সব…৷–তথ্য সূত্র: ডয়চে ভেলে।