পায়রা বন্দর লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২২-০১-১৯ ২১:০৩:৩০


পায়রা বন্দর যে লক্ষ্য নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, সে লক্ষ‍্যে এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন,পায়রা বন্দর কয়লাবাহী জাহাজ পরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য পণ‍্যবাহী জাহাজ পরিবহন করবে। পায়রা বন্দর ভবিষ্যতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পায়রা বন্দরের জন্য  দু’টি টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি কথা বলেন।

চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম শামসুল আজিজ।

এ বিষয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর আজ নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। পায়রা বন্দর এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করেছে। সামগ্রিক সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাধনে সহায়ক হবে।

তিনি জানান, পায়রা বন্দরকে ঘিরে ইতোমধ‍্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব‍্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। ব‍্যবসা-বাণিজ‍্যের প্রসার ঘটছে। সেখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, শেখ হাসিনা ক‍্যান্টনমেন্ট, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, নৌঘাটি নির্মিত হচ্ছে। কুয়াকাটায় পর্যটনের হাব রয়েছে। পায়রায় বিদ‍্যুতের নতুন হাব হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১৮ মাসে টাগবোট দুটি নির্মাণ করবে। ৭০ টন বোলার্ড পুল বিশিষ্ট দু’টি টাগবোট নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩৫ কোটি টাকা। টাগবোট দুটির দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৭০ মিটার, প্রস্থ ১১ মিটার, ড্রাফট ৫মিটার এবং টনেজ ২৮০ টন।

টাগবোট দুটির প্রতিটিই এককভাবে একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে ভিড়াতে সক্ষম হবে। এছাড়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ, বাণিজ্যিক জাহাজকে অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করা, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজকে টেনে নিরাপদে নিয়ে আসা, উত্তাল সমুদ্রে পাইলট ট্রান্সফারে সহায়তা করাসহ নানাবিধ অত্যাবশ্যকীয় কাজে টাগবোটগুলি ব্যবহত হবে। এতে পায়রা বন্দরের ধারাবাহিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান আব্দুল হামিদ।

নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সমুদ্র সীমার পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। মোংলা বন্দরের আউটারবারে ড্রেজিং করা হয়েছে। ইনারবারে ড্রেজিং চলছে। সেখানে ৯ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ আসতে পারবে।

সানবিডি/এনজে