কোভিডের ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ উৎপাদনের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-২০ ২০:০২:১১


জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট পুল (এমপিপি) যৌথভাবে জেনেরিক নির্মাতাদের নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের কোম্পানি হিসেবে এমপিপি’র সাব-লাইসেন্স পেল বেক্সিমকো ফার্মা।

কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য এই মুখে খাওয়ার ওষুধটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক অ্যান্ড কোং ইনক এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে।

জানা গেছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার জন্য মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটি ব্যবহার করা হবে। ওষুধটি ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি থেকে দেশটিতে শর্তসাপেক্ষ বাজারজাতকরণের অনুমোদন পায়। একই বছর ২৩ ডিসেম্বর মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায় ওষুধটি।

সারাবিশ্বে সাশ্রয়ী মূল্যে মলনুপিরাভির পৌঁছে দিতে গত বছরের অক্টোবরে এমপিপি এবং এমএসডিন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সাব-লাইসেন্স চুক্তিটি এরই একটি প্রতিফলন। এই চুক্তির অধীনে এমপিপি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ওষুধটি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাপী জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের ওষুধটি উৎপাদনের সাব-লাইসেন্স দিতে পারে।

এরই ধারবাহিকতায় বাংলাদেশেও কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য মলনুপিরাভির দেশেই তৈরি করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এমপিপি থেকে লাইসেন্সের অধীনে সফল প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদনের পর চলতি বছরের শেষ থেকে দেশে বিক্রি এবং রপ্তানি শুরু করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এরই মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে মেধাস্বত্ব মওকুফের অধীনে গত বছরের ৯ নভেম্বর ঘোষণাকৃত মলনুপিরাভির (ইমোরিভির)-এর নিজস্ব জেনেরিক সংস্করণ বিক্রি চালিয়ে যেতে পারবে বেক্সিমকো ফার্মা।

এ বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি বলেন, “মহামারী শুরুর পর থেকে আমরা রোগীদের কোভিড-১৯ চিকিৎসা সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতাই জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট পুল মলনুপিরাভির উৎপাদনের জন্য সাব-লাইসেন্স দেয়ায় আমরা আনন্দিত। এই ধরনের একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার গুণগত মান প্রকাশ পাবে। যা অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ সহজলভ্য করতে আমাদের কর্পোরেট মিশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।”

এএ