২৬২ কোটি ব্যয় ‍বাড়ছে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-২২ ০৯:৩১:০৭


রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের অসহনীয় যানজট নিরসনে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তবে এ প্রকল্পের ব্যয় আরও ২৬২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বাড়ছে। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়ও বাড়ছে চার বছর। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু কর্তৃপক্ষের এই প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।

২০১৭ সালের সালের অক্টোবরে অনুমোদিত মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা ছিল ১৬ হাজার ৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অর্থ ঋণ দেওয়ার কথা বলেছিল চীন। যার অংক ছিল ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। ২৬২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা খরচ বাড়ানোর ফলে এখন প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১৭ হাজার ১৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তবে এক্ষেত্রে চীনের ঋণ আর বাড়ছে না।

প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রায় চার বছর পর গত ২৮ অক্টোবর সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে চীনের ওই ঋণচুক্তি সই হয়েছে। চুক্তির আওতায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে নয় হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা ঋণ দিতে রাজি হয় চীনা এক্সিম ব্যাংক। দেশটির পলিসি প্রিফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) আওতায় এ ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় ব্যাংকটি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘাটতি ঋণ এক হাজার ২৮০ কোটি টাকাসহ বেড়ে যাওয়া ব্যয় ২৬২ কোটি টাকাও সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে। প্রথমে সরকারি অংশে প্রকল্পে অর্থায়ন পাঁচ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে সাত হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। ফলে সবমিলিয়ে এক হাজার ৫৪২ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় করবে সরকার। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়ার সময় নির্ধারণ ছিল। মেয়াদ চার বছর বাড়িয়ে এখন ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের সময়-ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সেতু বিভাগের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন) ওমর মো. ইমরুল মহসিন বলেন, চীন প্রথমে যে পরিমাণ ঋণ দিতে চেয়েছিল তা দেয়নি (এক হাজার ২৮০ কোটি কম দিয়েছে)। চীন শুধু টানেলে ১০০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। প্রকল্প ঋণ কমার কারণে জিওবি খাত থেকে টাকা বাড়বে। এজন্য প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সংশোধন করতে হবে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের সংশোধন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। প্রকল্পের ব্যয়ের সঙ্গে সময়ও বাড়বে।

সানবিডি/এনজে