জাবি ছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শাবিপ্রবি’র ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০১-২৪ ২১:১৯:১৯


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে তার আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতেদিকে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম-এর কাছে ফোন করে ছাত্রীদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘তার বক্তব্য সম্পাদনা (এডিট) করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই সংগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সবাই আহত হয়েছেন। ‘তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’

উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত নয়টা থেকে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন শাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংগে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন তাঁরা। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হলে এক পর্যায়ে পুলিশ এসে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আহত হন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আনন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ-এর পদত্যাগের দাবিতে ওই রাতেই আন্দোলনে নামেন। এরপর গত বুধবার ( ১৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে স্বেচ্ছায় ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এদের মধ্যে ৯ জন ছাত্রী ও ১৫ জন ছাত্র। উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ-এর বাসভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাত পৌনে আটটার দিকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এএ