বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন কোনো পদক্ষেপ নয়: মার্কিন কংগ্রেসম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০২-০১ ১৭:২০:৪৩
বাংলাদেশের আরও কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে জোর লবিং চলছে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রভাবশালী এক কংগ্রেসম্যান।
র্যাব ও বাহিনীটির বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশটির নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এই সতর্কতা দিয়েছেন কংগ্রেসম্যান এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অবশ্য সতর্কবার্তার পাশাপাশি মিকস এই বলে আশ্বস্তও করেছেন যে, নতুন করে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তার দেশ। তিনি বলেন, ‘তাদের কথা অনুযায়ী আমরা এটা করব না… এটা সম্ভব নয় এবং আমরা সব কিছু যাচাই-বাছাই করে সঠিক পদক্ষেপ নেব।’
স্থানীয় সময় সোমবার নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে এই কংগ্রেসম্যান বলেন, ‘যদিও আরও কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে জোরালোভাবে লবিং চলছে।
‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না এবং আমরা এখনও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি সংস্থার কিছু ব্যক্তির ওপর আরোপ করা হয়েছিল, পুরো সংস্থার ওপর নয়… আমরা সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাবের সাত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট আলাদাভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এমন নিষেধাজ্ঞাকে ভিত্তিহীন ও সরকারবিরোধীদের চক্রান্ত উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিষয়টি দেখভালের জন্য তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা না করে র্যাব এবং বাহিনীর বর্তমান-সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশিরা পছন্দ করেনি বলে ওয়াশিংটনকে জানায় ঢাকা।
১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় এ কথা বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান মিকস জানান, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখতে তিনি এ বছর বাংলাদেশ সফর করবেন।
তার আগে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক কংগ্রেস সাব-কমিটির সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে আমরা বাংলাদেশ ইস্যুতে কংগ্রেসে শুনানির ব্যবস্থাও করব।
মিকস যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে নিউ ইয়র্কে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে ২০২১ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এএ