পানির দাম তিন গুণ বাড়ালো রাজশাহী ওয়াসা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০২-০১ ২১:৩১:৩৬
পানির দাম তিন গুণ বাড়লো রাজশাহী ওয়াসা। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই পানির নতুন মূল্য কার্যকর করা হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল রাজশাহী ওয়াসা। কিন্তু অস্বাভাবিক হারে তিন গুণ পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর রাজশাহীতে এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। তবে এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ থাকলেও প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদ জানানোর কথা জানা যায়নি।
রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, পানির দাম তিন গুণ বাড়ানো হলেও তা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম। বর্তমানে এক হাজার লিটার পানি উৎপাদনে তাদের খরচ হয় ৮ টাকা ৯০ পয়সা। আর তিন গুণ বাড়ানোর পরও আবাসিক এলাকার গ্রাহক পর্যায়ে পরিশোধ করতে হবে ৬ টাকা ৮১ পয়সা। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ পানির জন্য দিতে হবে ১৩ টাকা ৬২ পয়সা। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য এই দাম বেশি নয়। এর আগে রাজশাহীতে আবাসিক সংযোগে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম ধরা হতো ২ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া বাণিজ্যিকে ছিল ৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
ওয়াসা সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালে পানির দাম বাড়িয়েছিল রাজশাহী ওয়াসা। এরপর গত সাত বছরে পানির দাম আর বাড়ানো হয়নি। সাত বছর পর উৎপাদন খরচ ও আনুষঙ্গিক ব্যয় সংকুলানের কথা বিবেচনায় রেখে পুনরায় পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়াসার পানির নতুন মূল্য কার্যকর করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সবকিছুরই দাম বাড়ছে। সময় ও উৎপাদন খরচের সাথে সঙ্গতি রেখেই পানির নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান ওয়াসার পরিধি অনেক বেড়েছে। কিন্তু পানির দাম সেই তুলনায় বাড়েনি। অথচ এই পানির বিলই ওয়াসার আয়ের উৎস। এজন্য গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের সব দিক বিবেচনায় রেখে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পানি সরবরাহ শাখাকে পৃথক করে ২০১০ সালের ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয় রাজশাহী ওয়াসা। পরে ২০১১ সালের ১০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াসার কার্যক্রম চালু হয়। তখন মহানগরীর ৩০ ওয়ার্ডের ১০৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৫৬টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করেছিল ওয়াসা। বর্তমানে ওয়াসা জনসংখ্যাভিত্তিক পানির প্রাপ্যতা (কাভারেজ) ৫২ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করেছে। পানির কাভারেজ বাড়াতে পানি উৎপাদক নলকূপের সংখ্যা ৫৬টি থেকে ১১০টি করা হয়েছে। সাথে পানির পাইপ লাইন ৫৫০ কিলোমিটার থেকে ৭১২ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী ওয়াসা দৈনিক ১৩ দশমিক ৫ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে দৈনিক ৯ দশমিক ৯ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। উৎপাদিত পানির ৯০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ পানি।
এএ