বাগদা চিংড়িকে জাতীয় ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০২-০৩ ১৬:০৭:২৩


প্রস্তাবিত রফতানি নীতিতে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়িকে জাতীয় ব্র্যান্ড হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পাবে হিমায়িত মৎস্য ও মৎস্য পণ্য। ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে আরও যেসব বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে- দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নিবন্ধিত ক্ষুদ্র চিংড়ি ও মৎস্য চাষিরা অল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। কৃষি শস্যের মতো চিংড়ি ও মৎস্য বীমা চালু করা হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে কাঁকড়া ও কুঁচে চাষের উদ্যোগ গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবিত রফতানি নীতিতে।

জানা গেছে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে সনাতনী পদ্ধতিতে চাষ করা হলেও রফতানি নীতিতে উন্নত সনাতনীর কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আধা নিবিড় চিংড়ি ও মৎস্য চাষের পদ্ধতি অবলম্বন করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চিংড়ি ও চাষিদেরকে অল্প সুদে সহজ কিস্তিতে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যেন তারা সহজে ঋণ পরিশোধ করতে পারে।

প্রস্তাবিত রফতানি নীতিতে হিমায়িত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদারের কথা বলা হয়েছে। আর যে কারণে বিনা শুল্কে অপরিহার্য মান নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি আমদানিতে উৎসাহিত করা হবে। পাশাপাশি মৎস্য অধিদফতর ও বিসিএসআইআর তাদের টেস্টিং ল্যাবরেটরি উন্নয়নের ব্যবস্থা করবে। হ্যাচিং থেকে শুরু করে মৎস্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিংয়ের সব পর্যায়ে একটি বিশেষ তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। যেন দূষিত হিমায়িত খাদ্য রফতানির আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায়।

বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে হিমায়িত খাদ্যের বাজার রয়েছে। কিন্তু এরপরও এই বাজার যেন আরও সম্প্রসারণ করা যায় সে জন্য বিদেশে বিপণন মিশন পাঠানো হবে। পাশাপাশি বিদেশে একক দেশীয় মেলা আয়োজন করা হবে। শুধু তাই নয়, দেশে ও বিদেশে আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করা হবে।

চিংড়ি রফতানির উদ্দেশ সফল করতে স্বাস্থ্যসম্মত চিংড়ি ও মৎস্য নিরাপত্তায় প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় দ্রুত পৌঁছানোর কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে উৎপাদন এলাকায় কমন রিসিভিং সেন্টার ও কোল্ডস্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রফতানি নীতিতে।

চিংড়ি ও মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পোনা, খাদ্য, বিদ্যুৎ ও কেমিক্যাল ইত্যাদিতে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর চাষ বাড়ানোর জন্য চাষের অঞ্চলে বাঁধ সংস্কার, খাল খননসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করা হবে। আর এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মৎস্য অধিদফতর বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করবে।

সানবিডি/এনজে