আইনি জটিলতা নিষ্পত্তি শেষে টাকা ফেরত পাবেন ই-কমার্স গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০২-০৬ ১৫:৪০:৫৩


পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেসব লেনদেনের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি শেষে সে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নতুন এ সেবার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আরজেএসসি থেকে এ নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, যে টাকা আটকে আছে, সে টাকা দেওয়া শুরু করেছি। এর মধ্যে অনেক আইনি জটিলতা আছে। আমি ঠিক বলতে পারি না অমুক তারিখে এটি দেওয়া শেষ হবে। আমরা শুরু করেছি, যেটাই আইনি জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসবে, সাথে সাথে দেওয়া হবে।

কী পরিমাণ টাকা আটকে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা আমরা বের করেছি এবং ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। দেওয়ার প্রসিডিউরে কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো ঠিক করে আমরা দিয়ে দেব। এটা একটা কোম্পানি। আরও বিভিন্ন কোম্পানি আছে।

এদিকে অ্যাপ উদ্বোধন শেষে চালডাল ডটকমের সিওও জিয়া আশরাফ, ডায়বেটিস স্টোরের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, রকমারি ডটকমের সিইও মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আজকের ডিলের সিইও ফাহিম মাশরুর, সাজগোজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল শেখ, যাচাই ডটকমের সিইও আব্দুল আজীজ, তৃণাস ক্লোসেটের প্রোপ্রাইটর ফারহা মাহমুদ তৃণা, নওরীনস মীররের প্রতিষ্ঠাতা হোসনে আরা খান নওরীন, ফেইসবুক শপ আখিস কালেকশনের প্রোপ্রাইটর সালমা রহমান আঁখি, ফেইসবুক শপ নিথানের প্রোপ্রাইটর ফারহা দিবা, ফেইসবুক শপ মম ফানুসের প্রোপ্রাইটর মুসরেফা জাহানের হাতে নিবন্ধনের সনদ তুলে দেওয়া হয়।

এই সনদ কী কাজে লাগবে অথবা এই সনদ অর্জন না করলে কী ধরনের সমস্যা হবে? প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এটা আপাতত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করতেন তাদের এক ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে এই সনদ দেওয়া হচ্ছে। এই সনদ দিতে গিয়ে হয়তো অনেক ভুলত্রুটি দেখা দেবে। ধীরে ধীরে আমরা সেগুলোর সমাধান করবো। এটা পাইলটিং ভিত্তিতে শুরু হলো। যারা এই নিবন্ধনের আওতায় আসবে না, ভবিষ্যতে সরকার তাদের দায়দায়িত্ব নেবে না।

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে যে ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে সেখান থেকে সঠিক উদ্যোক্তাদের তুলে আনতে চাই। ভোক্তারাও যেন তাদের সেবা পান। কোভিডের মধ্যে প্রচুর ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও বায়ার তৈরি হয়েছে। তাদের সুরক্ষা দিতে আমরা কাজ করছি।

এএ