জ্যাকসের ব্যাটে চড়ে শেষ চারে চট্টগ্রাম
স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০২-১২ ১৭:১১:৪৮
রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে এসে সিলেট সানরাইজার্সকে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইংলিশ ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকসের ব্যাটে চড়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফে নাম লেখায় বন্দরনগরীর দলটি।
তাদের জয়ে অপেক্ষা বাড়লো মিনিস্টার ঢাকার। মাহমুদউল্লাহদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে খুলনা টাইগার্সের হারের দিকে। আর খুলনা যদি জিতে তাহলে কপাল পুড়বে ঢাকার; চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত হবে খুলনার। ১০ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে তলানিতে থেকে বিপিএল শেষ হলো সিলেটের।
প্লে অফের লড়াইয়ে চট্টগ্রাম নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে সিলেটের বিপক্ষে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮৭ রানের লক্ষ্য দেয় আগেই বাদ পড়ে যাওয়া সিলেট। রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের হয়ে রান তাড়ায় দারুণ শুরু করেন উইল জ্যাকস। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে জাকির হাসানকে নিয়ে দাপুটে শুরু হয় জ্যাকসের। কিন্তু জুটিটা বড় হতে দেননি সোহাগ গাজী। তৃতীয় ওভারের শেষ বলেই জাকিরকে ফেরান তিনি।
তিনে আসা চট্টগ্রামের অধিনায়কে থিতু হওয়ার আগেই দ্বিতীয় শিকার বানান গাজী। তবে চট্টগ্রামের রান তাড়ায় জ্যাকসকে যোগ্য সঙ্গ দেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। তাদের ৬৯ রানের জুটিতে ভর করে জয়ের পথ খুঁজে পায় চট্টগ্রাম। দ্রুত রান নিতে গিয়ে বোপারার সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন ওয়ালটন (২৩ বলে ৩৫ রান)।
একপ্রান্তে সতীর্থদের বিদায় আর অন্যপ্রান্তে ব্যাটিং দৃঢ়তা ধরে রাখেন জ্যাকস। বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান কমান তিনি। যদিও শেষ দিকে এসে ৭ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে চট্টগ্রামের জন্য ম্যাচটা সহজ করে দেন শামীম পাটোয়ারি। শামীম ফিরলেও ৫৭ বলে ৮ চার ৪ ছক্কায় ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংসে চট্টগ্রামকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জ্যাকস। তার ব্যাটে চড়ে চূড়ান্ত চারে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম। হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরষ্কার।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী ও আলাউদ্দিন বাবু।
এর আগে সিলেটকে দারুণ শুরু এনে এনামুল হক বিজয় ও কলিন ইনগ্রাম। তাদের ৪১ রানের জুটি ভাঙে ইনগ্রাম সাজঘরে ফিরলে (১৯ বলে ২৪)। তিনে এসে ব্যর্থ মিজানুর রহমান। তৃতীয় উইকেটের জুটি দারুণ প্রতিরোধ গড়েন বিজয় ও লেন্ডল সিমন্স। তাদের ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ২৭ বলে ৪২ রান করেন সিমন্স।
একই ওভারের চতুর্থ বলে বিজয়কে ফেরান চট্টগ্রামের এই পেসার। ২৬ বলে ৩২ করেন তিনি। শেষ দিকে রবি বোপারা ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় সিলেট।
২১ বলে ৪৪ করেন বোপারা। নেতৃত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম জ্বলে ওঠেন বোপারা। এ ছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন ২২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
বরিশাল-কুমিল্লার প্লে অফ আগেই নিশ্চিত হয়েছে। শুধু প্লে অফ নয়, চূড়ান্ত হয়েছে কোয়ালিফায়ারও। ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সাকিবের দল। ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কুমিল্লা।
১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রমের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট ঢাকার অবস্থান চতুর্থ স্থানে। ৯ ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট ৮। আজ কুমিল্লাকে হারাতে পারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হবে খুলনার। আর হারলে ভাগ্য খুলে যাবে ঢাকার।
এম জি