আফগানিস্তানের ৩৫০ কোটি ডলার পাবেন মার্কিন নাগরিকরা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০২-১৩ ২০:৩৭:২৪
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের জব্দ করা অর্থের মধ্যে ৩৫০ কোটি ডলার টুইন-টাওয়ারে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাধারণ আফগানরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
পশ্চিমা সমর্থিত আফগানিস্তানে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাইডেনকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের সম্পদ তাদের হাতেই তুলে দিতে হবে।
শনিবার কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে হামিদ কারজাই এসব কথা বলেন।
আফগানিস্তানের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা আফগান সরকারের কোনো অর্থ না, আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের সম্পদ। সব অর্থ আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফেরত দেওয়া উচিত এবং সেখানেই সংরক্ষণ রাখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মতো আফগানিস্তানের জনগণও সন্ত্রাসবাদের শিকার। সুতরাং ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া উচিত না। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের অর্থ ৯/১১ হামলার ভুক্তভোগীদের দেওয়া উচিত না।
হামিদ কারজাই বলেন, ওসামা বিন লাদেনকে আফগানিস্তানে আফগানরা নিয়ে আসেনি, বরং বিদেশিরা তাকে নিয়ে এসেছিল। আল কায়েদা নেতা ওসামা পাকিস্তান থেকে এসেছিল এবং সেখানেই নিহত হয়েছেন। অথচ তার কর্মের ফল এখন আফগানিস্তানের মানুষ ভোগ করছে।
আফগানিস্তানের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, জব্দ অর্থ ফেরত পাওয়ার পর ইসলামিক আমিরাত বা তালেবানের এটা খরচ করা উচিত হবে না। কারণ, এটা দৈনন্দিন ব্যয়ের জন্য নয়। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই অর্থ সংরক্ষণ করে রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও বলেছে, আফগানিস্তানের সম্পদের মালিক দেশটির জনগণ। তাদের সম্পদ অন্যদের বিলিয়ে দেওয়া উচিত হবে না।
হোয়াইট হাউস থেকে সম্প্রতি বলা হয়েছে, জব্দ করা আফগান অর্থ নিয়ে মার্কিন আদালতে মামলা চলছে। ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ওই অর্থ দাবি করে মামলাটি করেছিলেন। এ কারণে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ যুক্তরাষ্ট্রেই রাখা হবে।
সানবিডি/এনজে