এমআইবির ডিজিটাল ম্যাপে যুক্ত হল ৩৬৩০ পোশাক কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-১০-২৫ ১৯:৩৫:২৩


দেশজুড়ে ৩ হাজার ৬৩০টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার তথ্য ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমআইবি) ডিজিটাল ম্যাপের আওতায় এসেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কারখানা শুমারির মাধ্যমে এ তথ্য এমআইবির ডিজিটাল ম্যাপের আওতায় আসে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি)।

এতে বলা হয়, লডেস ফাউন্ডেশন ও নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত প্রকল্পটি ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) প্রকল্পের কৌশলগত অংশীদার (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) হিসেবে কাজ করছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) প্রকল্পটিতে কৌশলগত সহায়তা করছে।

আরও জানানো হয়, এমআইবির উদ্দেশ্য হলো, দৃঢ়ভাবে তথ্য যাচাইকরণ ও তথ্যের সত্যতা সমর্থনের বিধিমালা অনুসরণ করা। এ সেক্টরের সব অংশীদারদের পোশাক কারখানাগুলোর সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য হালনাগাদ করা তথ্য দেওয়া। যাতে আরও বেশি দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।

‘ডিজিটাল ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত পোশাক কারখানার ডাটাবেজ দিয়ে এমআইবি বিভিন্ন গবেষণা করেছে। ম্যাপড ইন বাংলাদেশের গবেষকরা সম্প্রতি একটি প্রকাশনায় দেখিয়েছেন, দেশের ৩ হাজার ২১২টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক ও ৫৮ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করছেন।

এছাড়া ২০২০ সালের জুনে এমআইবি ডাটাবেজ থেকে তথ্য নিয়ে ২ হাজার ৩৩৪টি কারখানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচালিত তড়িৎ জরিপে জানা যায়, মহামারির সময়ে বিকেএমইএ ও বিজেএমইএর সদস্যপদ থাকা কারখানাগুলো উৎপাদন ক্ষমতার ৭০ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যবহারে সক্ষম ছিল। যেখানে সদস্যপদবিহীন কারখানার এ সক্ষমতা ছিল ৫৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) উপদেষ্টা ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের দলনেতা অধ্যাপক ড. রহিম বি তালুকদার জানান, পোশাক শিল্পে এমন অনেক কারখানা অবদান রাখছে যারা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর মতো বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্য নয়। এ সদস্যপদবিহীন কারখানাগুলোরও রপ্তানিখাতে ও দেশের অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, ৫৫৫টি সদস্যপদবিহীন পোশাক কারখানার নমুনা নিয়ে এমআইবির একটি জরিপে দেখা যায়, দেশে অতিমারির শুরুর সময়ে এ কারখানাগুলোয় ৮৬ হাজার ৬৯৭ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। এসব কারখানা হতে ছাঁটাই হয়েছে ৫৮ হাজার শ্রমিক। যা কি না প্রতি কারখানায় ২২৬ জন শ্রমিক।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) যুগ্ম-পরিচালক ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের লিড অপারেশন্স কর্মকর্তা আফসানা চৌধুরী বলেন, একদিকে যেমন এমআইবি ডাটাবেজের তথ্য নিয়ে বেশি গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে এ তথ্য সরকারের নীতিমালা গঠনে ও পোশাকখাত নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

এএ