করোনাভাইরাস: বিশ্বে এ পর্যন্ত মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৬ হাজার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২২-০২-২১ ০৯:৪২:৪৪
বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ২৮৫ জন এবং এ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৯৩ জনে। এছাড়া, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা বর্তমানে ৩৫ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯০৩ জন।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবাসইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৭৯ জন, আর এ রোগে মারা গেছেন ৫ হাজার ২৭৮ জন।
রোববার বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সংক্রমণ-মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ঘটেছে রাশিয়ায়। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এইদিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৯ জন এবং কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৭৪৫ জনের।
এছাড়া রোববার আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশসমূহ হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪ হাজার ১৩১ জন, মৃত্যু ৬৫ জন), দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪ হাজার ১২৮ জন, মৃত্যু ৫১ জন) জাপান (নতুন আক্রান্ত ৭৭ হাজার ১৫৩ জন, মৃত্যু ২০৩ জন), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ৭০ হাজার ৩৫৫ জন, মৃত্যু ২৬৩ জন), ইন্দোনেশিয়া (নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৪৮৪ জন, মৃত্যু ১৬৩ জন) এবং মেক্সিকো (মৃত্যু ৪৭০ জন, নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৮৫৭ জন)।
এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৩ জন।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৮৯ জন। এই রোগীদের মধ্যে কোভিডের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮১ হাজার ৫২৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এম জি