শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে ২০ নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-২২ ০৯:৪১:৪৫
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদান শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
তবে স্কুল-কলেজ খুললেও এখনই সব শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাস করতে পারবেন না। শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরাই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে পারবেন। বাকিরা অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নেবেন। প্রথম দফায় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে। ২ মার্চ থেকে খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।
প্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০টি নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন।
যেসব নির্দেশনা মেনে চলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান:
১. যেসব শিক্ষার্থী করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তারা সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিখন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্টগুলোর কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
৬. শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে পাঠানো নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে।
৭. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ/প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি কেবল একটি প্রবেশ/প্রস্থান মুখ থাকে, সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ/প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে।
৮. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে, সে বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং করতে হবে।
১০. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখতে হবে।
১১. প্রতিষ্ঠানের সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
১২. প্রতিষ্ঠানের সব ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১৩. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্যদের প্রবেশ, অবস্থান ও প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
১৪. প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্যদের সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার এবং কোথাও যেন পানি জমে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
১৮. শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করতে হবে।
১৯. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে হবে।
২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এম জি