ইউনিয়নের অধিকার ও মজুরি বোর্ড পাচ্ছেন ইপিজেড শ্রমিকরা

প্রকাশ: ২০১৬-০২-১৫ ১৪:২০:৫৬


depz1-600x371এখন থেকে ইউনিয়ন করার অধিকার পাবেন রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে স্থায়ী মজুরি বোর্ডও পাবেন তারা। সোমবার ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, শ্রম আইন ইপিজেডে প্রযোজ্য নয়, তাই নতুন এই আইন করা হচ্ছে। তিনি জানান, খসড়া এ আইনের ১৬ অধ্যায়ের ২০২টি ধারা রয়েছ। শ্রমিকদের আর্থিক বিষয়, অবসর, ক্ষতিপূরণ, বছরে দুইটি বোনাসসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের বিভিন্ন বিষয় রয়েছে খসড়া এ আইনে।

শফিউল আলম জানান, শ্রমিক কল্যাণ সমিতি নামে নতুন আইনে সংগঠন করতে পারবেন শ্রমিকরা। এই সংগঠনের মাধ্যমে শ্রমিকরা যৌথ দরকষাকষির অধিকার ও ধর্মঘট করার অধিকারের কথা বলতে পারবে তারা। ইপিজেড শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি স্থায়ী মজুরি বোর্ড গঠন করা হবে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব  জানান।

উল্লেখ, ২০১৪ সালের ৭ জুলাই ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।  তখন ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ার ১৬টি অধ্যায়ের ২০২টি ধারায় শ্রমিকদের নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলি, প্রসূতি সুবিধা, কাজের পরিবেশ, কর্মঘণ্টা, মজুরি, ইপিজেড-এর শ্রম আদালত গঠনসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

রানা প্লাজা ধসের পর শ্রমিক নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়টি সামনে আসে। সরকার এর আগে পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের বিধান করলেও ইপিজেড এর বাইরে ছিল। তবে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি ফিরে পেতে ইপিজেড-এ ট্রেড ইউনিয়নের চাপ বাড়ছিল।

সানবিডি/ঢাকা/আহো