গম ও ভুট্টার বিকল্প উৎস হতে পারে রোমানিয়া ও ফ্রান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-২৭ ১৪:৪২:২৩


ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য সরবরাহ বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে গম ও ভুট্টার বিকল্প উৎস খুঁজছেন খাদ্যশস্য রফতানিকারকরা। এক্ষেত্রে ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশেষ করে ফ্রান্স ও রোমানিয়া এ সংকট সামাল দিতে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খাদ্যশস্যের বাজারে। দুটি দেশই বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যশস্য সরবরাহকারী। বৈশ্বিক গম রফতানির এক-তৃতীয়াংশ ও ভুট্টা রফতানির এক-পঞ্চমাংশই তারা সরবরাহ করে। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর খবরে দেশ দুটি থেকে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এর পরই বৃহস্পতিবার ইউরোপে গমের দাম বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে।

মস্কোর সামরিক বাহিনীর আক্রমণে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন দেশটির বন্দরগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউক্রেনের মতো রোমানিয়াও শীর্ষস্থানীয় খাদ্যশস্য সরবরাহকারী। কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার বাইরে দিয়ে খাদ্যশস্য রফতানিতে ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ধরনের বিকল্প হতে পারে রোমানিয়া।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুদ্ধ শুরুর পর চার-পাঁচ লাখ টন রোমানিয়ান গম ও দু-তিন লাখ টন ভুট্টা ক্রয় করা হয়েছে। এগুলো আগামী মার্চ ও এপ্রিলে সরবরাহের জন্য জরুরি জাহাজীকরণ করা হবে।

ইউক্রেন মিসর, তুরস্ক, ইতালিসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য প্রধান খাদ্যশস্য রফতানিকারক। আফ্রিকার দেশগুলোয় দেশটির অনেক বড় বাজার হিস্যা রয়েছে। যুদ্ধ বাধায় পুরো অঞ্চলটিতে খাদ্যশস্য সংকট দেখা দেয়ার উদ্বেগ তীব্র হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এমন পরিস্থিতিতে রোমানিয়ান গমের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে।

শুধু রোমানিয়াই নয়, সরবরাহের ক্ষেত্রে বিবেচনায় রয়েছে ফ্রান্স। ইউক্রেনের বিকল্প হিসেবে ফ্রান্সের গমকে প্রাধান্য দিচ্ছেন রফতানিকারকরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এরই মধ্যে দেশটি থেকে কয়েক লাখ টন গমের চালান বুক করা হয়েছে। এছাড়া কিছু আমদানিকারক জার্মানি থেকে গম সরবরাহের কথাও ভাবছেন।

সানবিডি/এনজে