ভারতের সঙ্গে দুই বছর ধরে রেল চলাচল বন্ধ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০২-২৭ ১৯:৫৬:০২


মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন অনেকটিই নিম্নমুখী। যে কারণে এরই মধ্যে তুলে দেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ। শিগগিরই খুলে যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। এদিকে গণপরিবহন চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে দুইটি ট্রেন চলাচল করত তা পুনরায় চালুর বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ‍জানিয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতগামী সব ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এখন ভারত সরকারের দিক থেকে সিদ্ধান্ত এলেই শুরু করা যাবে। অনুমতি পেতে এ সপ্তাহেই ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র অনুযায়ী— ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’। ওই যাত্রার উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী। দীর্ঘ ৪৩ বছর পর দুই দেশের মধ্যে এ ট্রেন যাত্রার সূচনা হয়েছিল। ঢাকা-কলকাতা পথে সপ্তাহে মৈত্রী এক্সপ্রেসের আটটি ট্রেন আসা- যাওয়া করত। এরমধ্যে বাংলাদেশের চারটি, ভারতের চারটি ট্রেন। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মৈত্রী ঢাকা থেকে সপ্তাহে তিন দিন ছেড়ে যায়। মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে পাঁচদিন চলত।

শুক্রবার, শনিবার, রোববার এবং মঙ্গলবার ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যেত মৈত্রী। আর কলকাতার চিৎপুর এলাকার কলকাতা স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে শুক্রবার, সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার।

আর ঢাকা- জলপাইগুড়ি পথে চলাচল করে মিতালী এক্সপ্রেস। চলাচল শুরু করে। এটিও দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেই ২০২১ সালের ২৭ মার্চ এই ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়। এটি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে ভারতের শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুঁড়িতে গিয়ে থামে। এটি তৃতীয় ট্রেন যা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত করে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ সব পথেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসের হানা শুরু হওয়ার সময়েই মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর করোনার সংক্রমণ মাথায় নিয়ে উদ্বোধন হওয়া মিতালী যাত্রাই শুরু করতে পারেনি। সব মিলিয়ে টানা দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল। কবে নাগাদ শুরু হতে পারে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি রেলপথ মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বলছেন, শিগগিরই এ প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। ১ মার্চের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যে কলকাতার পরিস্থিতি জানতে চেয়ে ভারত সরকারের কাছে চিঠি দেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, করোনাকালে ভারত থেকে রেলপথে পণ্য আমদানি অনেকে বেড়েছে। ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে রেলপথে পণ্য আমদানি হয় প্রায় ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের অর্থবছরের চেয়ে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ১২৬ শতাংশ।

সানবিডি/এনজে