চলতি বছরও এলএনজির বাজার সংকুচিত থাকার আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-২৮ ১৪:১৯:৪২
বিশ্লেষকরা চলতি বছরও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বাজার সংকুচিত থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গত বছরও সংকটের মধ্যে ছিল জ্বালানি পণ্যটির বাজার। ওই সময় এলএনজির চাহিদা ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যেকোনো সময় সর্বোচ্চে উঠে আসে দাম। সম্প্রতি বহুজাতিক ব্রিটিশ জ্বালানি তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেলের বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছরের শুরু থেকেই করোনা মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্বের অর্থনীতিগুলোয় গতি ফিরতে শুরু করে। অনেক দেশেই শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখা দেয়। এ সময় অনেক দেশই কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর কথা বললেও আদতে তা সম্ভব হয়নি। এর পেছনে প্রধান কারণ ছিল বিনিয়োগস্বল্পতা। বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার কম থাকায় লাফিয়ে বেড়েছে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা। তুলনামূলক কম দূষণযোগ্য হওয়ায় এলএনজির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু সে তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ ছিল না। এ কারণে এলএনজির দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে শুরু করে।
শেলের এনার্জি মার্কেটিং বিভাগের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভ হিল বলেন, বর্তমানে আমরা এলএনজির বাজারদরে যে ঊর্ধ্বগতি দেখতে পাচ্ছি, তার প্রধান চালিকাশক্তি হিসবে কাজ করছে মজুদস্বল্পতা, সরবরাহ অনিশ্চয়তাসহ মৌলিক কিছু বিষয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে নতুন উৎস থেকে বাজারে সরবরাহ আসছে না। অন্যদিকে ঝুঁকি এড়াতে এলএনজি খাতে বিনিয়োগও কমিয়ে দিয়েছেন পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়গুলোও বাজারে চলমান সংকটের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলএনজি ক্রেতা ও বিক্রেতা শেল। কোম্পানিটি সম্প্রতি জানায়, গত বছর বিশ্বজুড়ে এলএনজির বাণিজ্য ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় সব মিলিয়ে ৩৮ কোটি টন এলএনজি আমদানি-রফতানি হয়েছে। মূলত করোনাভাইরাসের প্রভাব কিছুটা শিথিল হওয়ায় ব্যবহারকারী ও সরবরাহকারী দেশগুলোর অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধার ঘটেছে। এ কারণেই জ্বালানি পণ্যটির বাণিজ্য সম্প্রসারণ হয়।
বার্ষিক এলএনজি মার্কেট আউটলুকে শেল জানায়, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বর্তমানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বাড়বে। চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০ কোটি টনে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহে যে বিপত্তি তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে প্রধান ভূমিকা পালন করবে এলএনজি।
সানবিডি/এনজে