সতর্ক রেকিট বেনকিজার

প্রকাশ: ২০১৬-০২-১৫ ১৮:৩২:১৯


reckitগৃহস্থালির পণ্য নিয়ে সারা বিশ্বে ব্যবসা করে চলেছে বৃটেনভিত্তিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার। ২০১৫ সালে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পণ্য বিক্রি করেছে কোম্পানিটি। কিন্তু এ বছর অনেকটা ‘প্রতিকূল অবস্থার’ মধ্য দিয়ে চলতে হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

তবে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা করছে কোম্পানিটি।

বিবিসির এক খবরে বলা হচ্ছে, ডেটল, নিউরোফেন ও গেবিসকন ট্যাবলেট বিক্রি করে গত বছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে রেকিট বেনকিজার। বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত শীত ও মৌসুমী ফ্লুর কারণে শুধু স্বাস্থ্য বিভাগে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে কোম্পানির; যা পুরো প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এ খবরে আজ সোমবার লন্ডনের পুঁজিবাজারে রেকিট বেনকিজারের শেয়ারদর ৪.৬ শতাংশ বেড়ে যায়। এ নিয়ে গত এক বছরে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ।

রেকিট বেনকিজার জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিবেশের মধ্যেও তারা ২০১৬ সালে তাদের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। এজন্য তারা কাঁশি ও গলাব্যথা নাশক ওষুধ স্ট্রেপসিল ও এয়ার উইকের মতো বিশেষ কিছু পণ্যের ওপর অতিরিক্ত নজর দিচ্ছে। এ উদ্যোগ বাজারকে আরও চাঙ্গা করবে বলে আশা তাদের।

কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী রাকেশ কাপুর মনে করেন, ২০১৬ সালে আমাদের পরিবেশ প্রতিকূলে যেতে পারে। তবে কৌশলগত অবস্থান তাকে ঠিকই প্রতিহত করবে। বিশেষ করে আমাদের নেওয়া নতুন নতুন উদ্যোগ রেকিট বেনকিজারের প্রবৃদ্ধি ও মুনাফাকে এ বছরও বাড়াতে সাহায্য করবে।

২০১৫ সালে রেকিট বেনকিজারের নিট আয় বেড়ে হয়েছে ৮.৯ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। এর আগের বছর যা ছিল ৮.৮ বিলিয়ন পাউন্ড। এসময় কর পূর্ববর্তী মুনাফা বেড়েছে ৪ শতাংশ।

এ বছর নিট আয় ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্য থাকবে বলে আশা করছেন রাকেশ কাপুর।

উল্লেখ, বাংলাদেশের বাজারেও ব্যবসা করছে রেকিট বেনকিজার। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে কোম্পানিটি। তবে দেশের বাজারে কোম্পানিটির কোনো প্রভাব পড়বে কি না তা জানা যায়নি।