বেনাপোলে নয় মাসে ৬০৮ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৪-০৬ ০৯:২০:৫৪
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বেনাপোল কাস্টম হাউজে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৬০৮ কোটি টাকা। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, চলতি অর্থবছর আমদানি পণ্য থেকে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে সে সময় আদায় হয় ৪ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও ঘাটতি ছিল ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় ব্যবসায়ীরা চাহিদামতো পণ্য আমদানি করতে পারেন না। এতেই বার বার রাজস্ব আয়ে ধস নামছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর করোনা পরিস্থিতি বেশ ভালো। এখন রেলের যন্ত্রাংশ আমদানি বেশি হচ্ছে। যে কারণে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে রাজস্ব আদায়ের চিত্র ভালো। তবে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। আবার ভারতের কালীতলায় অবৈধভাবে পার্কিংয়ের নামে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। যে কারণে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর ছেড়ে চলে গেছেন। বেনাপোল বন্দর উন্নয়ন, ভারতে হয়রানি বন্ধ হলে এ বন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয় কাস্টমসের পক্ষে সম্ভব।
সানবিডি/ এনজে