জিয়াকে ‘স্বৈরশাসনের জনক’ বললেন ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৪-০৬ ১৭:৪৬:০৪
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘স্বৈরশাসনের জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আখ্যা দেন।
তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বৈরশাসনের কথা বলে আজ জাতিকে নসিহত করার চেষ্টা করছেন! কিন্তু বাংলাদেশে স্বৈরশাসনের জনক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জন্মসূত্রেই সংবিধান ও গণতন্ত্রকে হত্যা করে যে দল সামরিক শাসন কায়েম করেছে তাদের মুখে স্বৈরশাসন শব্দটি মানায় না। বিএনপি হলো স্বৈরাচারের প্রতিভূ, খুনি, যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
আওয়ামী লীগ ঐহিত্যগতভাবে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও আদর্শকে ধারণ করেই রাজনীতি করে দাবি করে কাদের বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও কল্যাণই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। সরকার কখনো বিরোধী মতের প্রতি দমনপীড়ন নির্যাতনে বিশ্বাস করে না। বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী নির্যাতন-নিপীড়ন ও প্রাণহানির শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের আলোর দিশারি হয়ে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ও বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি জাতির অবিভাজিত স্বপ্ন-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে এক সময়ের দুর্ভিক্ষ কবলিত ও দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা তথা উন্নত-সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিনিয়ত বাস্তবতাবর্জিত বক্তব্য ও মিথ্যাচার শুনে দেশের জনগণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন কাদের। বলেন, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিকে ধারণ না করে বিএনপি নেতারা শুধুমাত্র লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে দূরভিসন্ধিমূলক রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান। দলটি কখনো জনকল্যাণকর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেনি। এ কারণেই লক্ষ্যহীন অকার্যকর ও ব্যর্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপির কোনো প্রকার বক্তব্য জনগণ সমর্থন করে না। তাদের আসল উদ্দেশ্য যেন তেন উপায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল। বিএনিপর কাছে দেশের জনগণের কল্যাণের চেয়ে ক্ষমতা দখলের রাজনীতিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এএ